আধুনিক পদ্ধতিতে লিখিত পরীক্ষা নেয়াসহ পাঁচ দফা দাবিতে গত ১১ নভেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আমরণ অনশন করে আসছিলেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা। বুধবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাদের কোমলপানীয় পান করিয়ে এই অনশন ভাঙিয়েছে পুলিশ।
সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম তাদের কোমলপানীয় পান করান। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা প্রধান নাদিয়া ফারজানার নির্দেশে শিক্ষার্থীদের কোমলপানীয় পান করানো হয়। অনশনকারীরা সুস্পষ্ট আশ্বাস ছাড়া অনশন ভাঙতে রাজি না হলে তিনি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে বলে জানান।
অনশনকারীরা বলেন, আমরা অসহায়। অনশন করতে বাধ্য হয়েছি। বার কাউন্সিল যথা সময়ে পরীক্ষা নিচ্ছে না। গত দুই বছরে একটি পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হয়নি। অথচ আইন অনুসারে এ সময়ে দুটি পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। আমরা পুলিশের নারী কর্মকর্তার প্রতি সম্মান জানিয়ে অনশন ভেঙেছি। তবে দাবি না মানা হলে আমরা সারা দেশের শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা স্বেচ্ছায় কারাবরণের কর্মসূচি ঘোষণা দেব।
আইনের ছাত্রদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে উল্লেখ করে আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আইনজীবী তালিকাভুক্তির একটি পরীক্ষা নিয়ে ফল প্রকাশ করতে তিন বছরের মতো সময় নিচ্ছে। এতে আইনের ছাত্ররা আইনপেশায় যুক্ত হতে গিয়ে জীবন থেকে অনেক বয়স হারিয়ে ফেলছেন। এছাড়া প্রতি বছর পরীক্ষা না নেওয়ায় শিক্ষানবিশদের সংখ্যা বেড়েই চলছে। এতে একপ্রকারের বেকারত্বের জট তৈরি হচ্ছে।’
তারা জানান, তারা এলএলবি অনার্স সম্পন্ন করে বার কাউন্সিলের নিয়ম-কানুন মেনে জেলা জজ আদালতে শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে কাজ করছি। সার্বিক পরিস্থিতি ও অপূরণীয় ক্ষতির কথা বিবেচনা করে তারা দ্রুত পরীক্ষা নেওয়ার আহ্বান জানান।
অবিলম্বে আইনজীবী তালিকাভুক্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা, লিখিত পরীক্ষায় ওএমআর পদ্ধতির অনুসরণ, বিচারককে দিয়ে লিখিত পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের পর ছয় মাসে পরীক্ষা সম্পন্ন করা, লিখিত পরীক্ষার খাতা রিভিউ করার সুযোগ প্রদান ও প্রতি বছর আইনজীবী তালিকাভুক্তি পরীক্ষার ব্যবস্থার দাবিতে গত সোমবার (১১ নভেম্বর) থেকে অনশন করে আসছিলেন তারা।