বিচারপতির বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা মামলা’ বিচার বিভাগের জন্য হুমকিস্বরূপ: হাইকোর্ট
বাংলাদেশের উচ্চ আদালত

দুদক কর্তৃক মামলা ও তদন্তের এখতিয়ার চ্যালেঞ্জ করে রিট

যেকোনো দুর্নীতির বিষয়ে মামলা বা এফআইআর করার ক্ষেত্রে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নিজ কার্যালয়ে এজাহার দাখিল ও ওই এজাহারের ভিত্তিতে তদন্ত করার ক্ষমতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে।

হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুই আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাস ও ব্যারিস্টার নওশীন নাওয়ালের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের অপর দুই আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল কাইউম খান ও মমতাজ পারভীন এই রিট আবেদন করেন।

রিট আবেদনে দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা-২০০৭ (সংশোধনী ২০১৯) এর ১ (২) (ঘ) (ছ), ৪, ৯ (ক), ১০ নম্বর বিধি ও ফরম-২খ কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির প্রার্থনা করা হয়েছে।

আইন, স্বরাষ্ট্র ও সংসদ সচিবালয়ের সচিব, দুদক চেয়ারম্যান, পুলিশের আইজি ও দুদক সচিবকে রিট আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে।

রিটের বিষয়টি নিশ্চিত করেন অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাস গণমাধ্যমকে জানান, দুদক বিধিমালার ওই বিধি কয়টি সংবিধানের ৩১, ৬৫(১) অনুচ্ছেদ এবং ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৪ ধারার পরিপন্থী। ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৪ ধারা অনুযায়ী যেকোনো ব্যক্তির অভিযোগ থানা রেকর্ড করতে বাধ্য। কিন্তু দুদকের ওই বিধিমালার কারণে এখন আর থানা দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে সরাসরি মামলা রেকর্ড করতে পারে না। কেবলমাত্র জিডি হিসেবে গ্রহণ করতে পারে। থানা অভিযোগ (জিডি) পাঠিয়ে দেয় দুদকে। এরপর তার ভিত্তিতে অনুসন্ধানের পর দুদক মামলা করে। এই বিধিমালার মাধ্যমে ফৌজদারি কার্যবিধিতে একজন নাগরিককে দেয়া ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের মামলা করার ক্ষমতা কেড়ে নেয়া হয়েছে। এজন্য রিটটি করা হয়েছে।