সরকারি আইন কর্মকর্তা নিয়োগ, পদোন্নতি, অপসারণ, প্রশিক্ষণ ইত্যাদিসহ সকল বিষয় পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি নতুন আইন প্রণয়নের মাধ্যমে একটি স্বাধীন প্রসিকিউশন সার্ভিস কমিশন প্রতিষ্ঠা করতে আদালতের নির্দেশনা চেয়ে দায়েরকৃত রিট আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আজ রোববার (১২ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও খোন্দকার দেলউরুজ্জামানের বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
রুলে স্বাধীন প্রসিকিউশন সার্ভিস কমিশন প্রতিষ্ঠা করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন কমিশনের চেয়ারম্যান, মন্ত্রীপরিষদ সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।
এর আগে, চলতি বছরের ১১ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া জনস্বার্থে রিটটি দায়ের করেন। রিটে সরকারি আইন কর্মকর্তা নিয়োগ, পদোন্নতি, অপসারণ, প্রশিক্ষণ ইত্যাদিসহ সকল বিষয় পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি নতুন আইন প্রণয়নের মাধ্যমে একটি স্বাধীন প্রসিকিউশন সার্ভিস কমিশন প্রতিষ্ঠা করতে আদালতের নির্দেশনা চাওয়া হয়। পাশপাশি স্বতন্ত্র প্রসিকিউশন সার্ভিস প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের দায়িত্ব পালনে বিরত থাকার নির্দেশনা চাওয়া হয়।
সরকারি আইন কর্মকর্তা নিয়োগের বিধিমালা লঙ্ঘন করে এই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে রিট আবেদনে সৎ, যোগ্য ও মেধাবীদের বাদ দিয়ে এবং পেশাগত জ্ঞান ও দক্ষতা বিবেচনা না করে শুধুমাত্র রাজনৈতিক বিবেচনায় এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৭ জুলাই আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর শাখা ১০৫ জনকে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এবং ২১ জুলাই ৭০ জনকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করে।