ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের সেরেস্তাদারের সহকারী রেখা রানী দাসকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার পর এবার বরিশালের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সেরেস্তাদার আবদুল কাদেরকে একই অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বরিশালের জেলা ও দায়রা জজ মো. রফিকুল ইসলাম বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) তাঁকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবদুল গফফার খান।
একই সঙ্গে তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছে। ১০ কার্যদিবসের মধ্যে ওই নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সেরেস্তাদার আবদুল কাদেরের কাছে বিচারপ্রার্থীরা মামলা সংক্রান্ত কোনো কাগজ অথবা সই মোহর আনতে গেলে তিনি উৎকোচ দাবি করতেন। উৎকোচ না দিলে তিনি বিচার প্রার্থীদের কোনো কাজ করে দিতেন না। এমন অভিযোগ পেয়েই জেলা ও দায়রা জজ মো. রফিকুল ইসলাম তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করেন।
এর আগে ১৭ নভেম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের সেরেস্তাদারের সহকারী রেখা রানী দাসকে একই অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এইচ এম মাহবুবুর রহমান।
সম্প্রতি একটি মামলায় জামিন পাওয়া ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার মনির হোসেন নামে এক ব্যক্তি জামিন আদেশের সই মোহর আনতে যান রেখা রাণী দাসের কাছে। রেখা টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করায় মনির হোসেনকে সই মোহর দেননি রেখা। ওই ঘটনার ধারণ করা একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।