এবার থেকে জনস্বার্থ মামলার শুনানি হবে মূলত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের এজলাসে। এছাড়াও শুনানি হতে পারে সর্বোচ্চ আদালতের সিনিয়র তিন বিচারপতির এজলাসেও। সুপ্রিম কোর্টের বিজ্ঞাপিত নতুন রোস্টার অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি ছাড়া জনস্বার্থ মামলার শুনানি যেতে পারে বিচারপতি এন ভি রামানা, বিচারপতি অরুন মিশ্র ও আর এফ নারিমানের এজলাসে।
রোস্টার অনুসারে, প্রধান বিচারপতির এজলাসে যেসব মামলার শুনানি হবে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, আদালত অবমাননা, নির্বাচন সংক্রান্ত মামলা, হেবিয়াস কর্পাস (কোন ব্যক্তি যদি মনে করে তাকে অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে, তাহলে সে হেবিয়াস কর্পাস- এর জন্য আবেদন করতে পারেন), সামাজিক ন্যায়, ফৌজদারি মামলার পাশাপাশি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর সংক্রান্ত মামলা, বিভিন্ন কমিশনের অনুসন্ধান , কোম্পানি ল সংক্রান্ত বিষয়গুলির উপর মামলার।
সশস্ত্র বাহিনী, আধা সামরিক বাহিনী, পুনর্বাসন, ফৌজদারি ও সাধারণ দেওয়ানি বিষয়ক মামলা মূলত দেখভাল করবেন বিচারপতি রামানা। এছাড়া, জমি অধিগ্রহণ ও অন্য়ান্য বিষয়ক মামলার বিচার হবে বিচারপতি অরুন মিশ্রের এজলাসে। আর বিচারপতি নারিমান দেখবেন পরিবার আইনের আওতাধীন বিভিন্ন মামলা।
নভেম্বরের মাঝামাঝি প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব নিয়েছেন এস এ বোবদে। তারপরই সর্বোচ্চ আদালতের রোস্টারে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হল। কোন মামলা সুপ্রিম কোর্টের কোন বিচারপতির নজরদারিতে থাকবে তা নির্ধারণ করেন দেশের প্রধান বিচারপতি। এক্ষেত্রে জনস্বার্থ মামলার বিচারের বিষয়টি নিজের হাতেই রেখেছেন এস এ বোবদে। যা বেশ উল্লেখযোগ্য বলেই মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ‘বিচারবিভাগের ভিতরে অনিয়ম’ নিয়ে প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন সুপ্রিম কোর্টের চার জন সিনিয়র বিচারপতি। অভিযোগের কাঠগড়ায় ছিল রোস্টার বন্টন। বিচারপতি জে চেলামেশ্বর, বিচারপতি কুরিয়েন জোসেফ, বিচারপতি রঞ্জন গগৈ এবং বিচারপতি মদন লোকু নজিরবিহীনভাবে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে বলেছিলেন, ‘কোনও রকম নিয়ম না মেনেই গুরুত্বপূর্ণ এবং সংবেদনশীল মামলাগুলো জুনিয়র বিচারপতিদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে।’ তাদের দাবি ছিল, ‘যদি বিচারবিভাগে নিরপেক্ষতা না থাকে, তা হলে গণতন্ত্রেরই অস্তিত্ব বিপন্ন হবে।’