যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ইদ্রিস-পলাশ প্যানেল থেকে সভাপতিসহ ছয়জন ও বিএনপিপন্থি দেবাশীষ-গফুর প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদকসহ ছয়জন জয়ী হয়েছেন। বাকি একটি সদস্য পদে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। নির্বাচনে সভাপতি পদে ইদ্রিস আলী ও সাধারণ সম্পাদক পদে এমএ গফুর বিজয়ী হয়েছেন।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য শাহারিয়ার বাবু গণমাধ্যমকে বলেন, শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে আইনজীবী সমিতির বার্ষিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল ৪টায় ভোট গ্রহণ শেষে ৫টা থেকে ভোট গণনা শুরু হয়। পরে ভোট গণনা শেষে এদিন রাতেই ঘোষণা করা হয় ফলাফল।
ঘোষিত ফলাফল থেকে জানা যায়, সভাপতি পদে ইদ্রিস আলী ২৬৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী দেবাশীষ দাস পেয়েছেন ১৯৪ ভোট। এমএ গফুর ২৭৪ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী এসএম বদরুজ্জামান পলাশ পেয়েছেন ১৮০ ভোট।
সহ-সভাপতির দুইটি পদে গোলাম মোস্তফা ২৭১ ও খোন্দকার মোয়াজ্জেম হোসেন মুকুল ২৩৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী মাহবুবুর রহমান ১৫৫ ও নাছিম আহমেদ বাবু ১৩৫ ভোট পান।
যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে ইমদাদুল হক ১৯০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী এসএম আব্দুর রাজ্জক ১৪১ ও বাসুদেব বিশ্বাস ১০৮ ভোট পান।
সহ-সাধারণ সম্পাদকের দুইটি পদে জাহাঙ্গীর আলম ২২৭ ও পলক কুমার মৈত্র ২২৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী সালাহ উদ্দিন শরীফ শাকিল ২২১ ও ডেজিনা ইয়াছমিন ১৩১ ভোট পেয়েছেন।
গ্রন্থাগার সম্পাদক পদে আকম মনিরুল ইসলাম ২৮৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী শ্যামল কুমার মজুমদার পেয়েছেন ২৪৯ ভোট।
এছাড়া নির্বাহী সদস্যের পাঁচটি পদে তারিক এনাম অনিক ২৭৩, জুলফিকার আলী ২৫৬, রেহেনা পারভীন ২৩৬, এসএম মাসুদুল ১৯৯ ও মোকবুল হোসেন ১৯২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী রুহুল কুদ্দুস তপু ১৮৯, সাবিহা পারভীন ১৮৩, আবু খালেক আল আসাদ লিটন ১৭১ ও রাজীব হোসেন ১৩৬ ভোট পেয়েছেন।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইসমত হাসারের নেতৃত্বে নির্বাচন পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান, অ্যাডভোকেট আজিজুর ইসলাম, অ্যাডভোকেট শহিদুর রহমান ও অ্যাডভোকেট শাহারিয়ার বাবু।