শুরুর দিকে আইন পেশায় ৫-৬ বছরের একটা ট্রানজিকশন পিরিয়ড থাকে উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও রাজশাহী ইউনিভার্সিটি ল’ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন (রুলা) এর বর্তমান সভাপতি অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী বলেছেন, আমি বলবো এই পাঁচ-ছয় বছর তার শেখার সময়। এই সময়টা তাকে আর্থিক অনটন সহ্য করতে হবে। কিন্তু এই সময়টা পার করতে পারলেই আমি হলফ করে বলতে পারি অন্য যেকোনো পেশার চেয়ে উন্নত ভবিষ্যত আছে।
ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমের একান্ত সাক্ষাৎকারে নবীন আইনজীবীদের পেশাগত উন্নয়ন ও তাদের প্রতি প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে গিয়ে নাহিদ সুলতানা বলেন, ‘একটা সময় ছিল যখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শুধু আইনজীবীর ছেলে-মেয়েরাই এ পেশায় আসতো বা একটু সলভেন্ট পরিবারের ছেলে-মেয়েরা আইন পেশায় যুক্ত হত। তবে পরিস্থিতি বদলেছে। এখন সমাজের নানা শ্রেণি থেকে অনেকেই আইন পেশায় আসছেন। কিন্তু সত্যি কথা বলতে কি আইন পেশার শুরু দিকে ৫-৬ বছরের একটা ট্রানজিকশন পিরিয়ড থাকে যেখানে টাকা পয়সার অভাব থাকে, এ অবস্থায় সকলেরই কষ্ট হয়। এটা স্বীকার করেই বলছি, যে এই সময়ের কষ্টটা যদি কেউ মেনে নিয়ে লেগে থাকতে পারে তাহলে এ পেশায় ভবিষ্যৎ সুন্দর হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নবীনরা যখন এ পেশায় আসবে নয়টা-পাঁচটা চাকরির মতো কোর্টে সময় ব্যয় করতে হবে। আমি বলবো এই পাঁচ-ছয় বছর তার শেখার সময়। এই সময়টা তাকে আর্থিক অনটন সহ্য করতে হবে। কিন্তু এই সময়টা পার করতে পারলেই আমি হলফ করে বলতে পারি অন্য যেকোনো পেশার চেয়ে উন্নত ভবিষ্যত আছে। আর ভালো সিনিয়র পেলে অনেকের এতো সময়ও লাগে না’।
নবীনদের উদ্দেশ্যে অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা বলেন, ‘তারা (নবীন আইনজীবীরা) যেন ধৈর্য্যের সাথে পেশাটা ধরে রাখে, পাশাপাশি কোর্টের বিষয়গুলো মন দিয়ে শিখে এবং লক্ষ্য স্থির রেখে এগিয়ে যায়’।
আইন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে এই আইনজীবী বলেন, ‘আর যারা এখনো এ পেশায় আসেনি তাদের জন্য বলবো, যারা এ পেশায় আসতে চাইছে, তারা যেন এই ৫-৬ বছর কষ্ট করার মানসিকতা নিয়েই আসে’।