স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ছাত্রী রুবাইয়াত শারমিন ওরফে রুম্পার দেহে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক।
আজ শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক সোহেল মাহমুদ বলেন, শারমিনের লাশের ময়নাতদন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদনে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি। প্রতিবেদনটি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে। পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পরবর্তী সময়ে দেওয়া হবে।
এর আগে, গত ৪ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী এলাকা থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন রাতে স্বজনেরা রমনা থানায় লাশের ছবি দেখে শারমিনের পরিচয় শনাক্ত করেন। শারমিন রাজারবাগ পুলিশ লাইনস উচ্চবিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির সিদ্ধেশ্বরী ক্যাম্পাসে ইংরেজিতে স্নাতক করছিলেন। তাঁর বাবা রোকন উদ্দিন হবিগঞ্জের একটি পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক।
সিদ্ধেশ্বরীর যে স্থানে রুবাইয়াত শারমিনের লাশ পড়ে ছিল, এর আশপাশের বিভিন্ন ভবন ও সড়কের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করছে পুলিশ। একই সঙ্গে শারমিনের বন্ধু আবদুর রহমান ওরফে সৈকতকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে শারমিনের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।
আবদুর রহমানের সঙ্গে শারমিনের সম্পর্ক ও পরে দূরত্ব সৃষ্টি হওয়ার বিষয়টি কিছুদিন আগে জানতে পারে তাঁর পরিবার।
সিদ্ধেশ্বরীর যে স্থান থেকে শারমিনের লাশ উদ্ধার করা হয়, সেখানে পাশাপাশি তিনটি ভবনের একটি ১২ তলা (আয়েশা শপিং কমপ্লেক্স)। এর চারতলা পর্যন্ত বাণিজ্যিক (দোকান, বিভিন্ন অফিস) কার্যক্রম চলে। পঞ্চম তলা থেকে আবাসিক ফ্ল্যাট। আয়েশা শপিং কমপ্লেক্সের ছাদ থেকে শারমিনকে ফেলে দেওয়া হতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ।