বিচার বিভাগ ও আইনজীবীদের সুনাম ক্ষুণ্ন করে-এমন বিষয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেয়া থেকে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে বিরত থাকতে বলেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য তাকে সতর্কও করে দিয়েছেন আদালত।
পরীক্ষা ছাড়াই এক বিচারপতির ছেলেকে হাইকোর্টের আইনজীবী ঘোষণা করার বিষয় চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট শুনানিতে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ মৌখিকভাবে এই আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক, ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ও অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। বিবাদী জুম্মান সিদ্দিকীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম। তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার সুমাইয়া বিনতে আজিজ।
রিট শুনানির একপর্যায়ে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম ও বিচারপতির ছেলেকে নিয়ে ফেসবুকে দেয়া ব্যারিস্টার সুমনের বক্তব্য ও বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন ব্যারিস্টার এম-আমীর উল ইসলাম। তিনি আদালতকে বলেন, ‘ব্যারিস্টার সুমন ফেসবুকে ক্যাম্পেইন করে সুপ্রিম কোর্ট ও আইনজীবীদের হেয় করছেন। একজন আইনজীবী অপর একজন আইনজীবীর বিরুদ্ধে এভাবে প্রচারণা চালাতে পারেন না।’
তখন আদালত বলেন, ‘ফেসবুকে এসব দেবে কেন?’ এ পর্যায়ে আদালত বিচার বিভাগ ও আইনজীবীদের সুনাম ক্ষুণ্ন করে-এমন বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেয়া থেকে ব্যারিস্টার সুমনকে বিরত থাকতে বলেন ও সতর্ক করেন।
পরে বিচারপতির ছেলেকে উচ্চ আদালত তথা হাইকোর্টের আইনজীবী ঘোষণা করে বার কাউন্সিল থেকে জারি করা গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত করে দেন আদালত। একই সঙ্গে, আইনজীবী অন্তর্ভুক্তির পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হওয়ার পরও তাকে হাইকোর্টের আইনজীবী করে বার কাউন্সিলের প্রকাশিত গেজেট কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়।
তবে, এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সুমন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাকে সতর্ক করে আদালত কোনো আদেশ দেননি। শুনানিকালে আদালত বলেছেন, বিচার বিভাগ বা একজন সিনিয়র আইনজীবী নিয়ে এভাবে পোস্ট দেয়া ঠিক হয়নি। ভবিষ্যতে এটা করবেন না।’