ঢাকাকে মনোরম ও উন্নত পরিবেশবান্ধব নগর হিসেবে গড়ে তুলতে চার মহাপরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের অডিটোরিয়ামে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের বিশেষ সাধারণ সভায় শনিবার (৪ জানুয়ারি) তিনি এ কথা জানান।
ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস বলেন, ঢাকা শহর বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষ্যা হয়ে বালু নদীর তীরে অবস্থিত। এত সুন্দর জায়গা পৃথিবীর আর কোথাও নেই। বিশ্বের অন্যান্য দেশে দেখেছি, একটি মাত্র নদীর অববাহিকায় শহর অবস্থিত। আর সেখানে ঢাকা দুটি নদীর অববাহিকায় অবস্থিত। অবহেলায় এই শহর এখন প্রায় মরতে বসেছে। আমরা এই ঢাকাকে আবার জাগাতে চাই। ঢাকাকে নিয়ে ৩০ বছর মেয়াদি একটি উন্নত মহাপরিকল্পনা করব। আপাতত চারটি পরিকল্পনা রয়েছে। পরবর্তীতে নির্বাচনি ইশতেহারে আরও পরিকল্পনা যোগ হতে পারে।
তাপস আরও বলেন, ঢাকা শহর নিয়ে একটা মেগাপ্রকল্প হবে। প্রথমত— নদীর ধারে মনোরম পরিবেশ তৈরি করব। যাতে সেখান দিয়ে যাতায়াত সুবিধা হবে এবং বিনোদনের জায়গা হবে। দ্বিতীয়ত— ঢাকার অপরূপ সৌন্দর্য আমরা প্রস্ফুটিত করব। ঢাকাকে পরিবেশবান্ধব হিসেবে গড়ে তোলা হবে। সবুজায়ন করা হবে। ঢাকাকে বায়ু ও পানি দূষণমুক্ত করে সুন্দর পরিবেশ গড়ে তোলা হবে। তৃতীয়— ঢাকার যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত করব। বিশেষ করে কর্মজীবী নারীদের যাতায়াতের বিষয়টি গুরুত্ব দেব। চতুর্থত— সুশাসিত ঢাকা। সুশাসিত ঢাকা গড়তে ঐতিহ্যবাহী পঞ্চায়েত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করব। যার মাধ্যমে মাদকসহ যে সামাজিক ব্যাধি সৃষ্টি হয়েছে তা নিরসনে এলাকাভিত্তিক ব্যবস্থা হবে। এলাকার মুরুব্বিরা পঞ্চায়েত ভিত্তিতে তা সমাধান করবেন। কারণ আইন প্রয়োগকারী সংস্থা দিয়ে সবকিছু করা সম্ভব হয় না। সর্বোপরি ঢাকাকে দুর্নীতিমুক্ত একটি শহর হিসেবে গড়ে তুলব।
তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন একটি স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা। আইনজীবী হিসেবে আমি আশা করব, দল-মত নির্বিশেষে আইনজীবীদের শতভাগ ভোট যেন আমরা পাই। আমি নির্বাচিত হলে দল-মত নির্বিশেষে সকলের জন্য কাজ করব।
ব্যারিস্টার তাপস বলেন, এটা একটা স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এখানে দলীয় প্রতীক দেওয়া হলেও জনগণ এবং ঢাকাবাসী তাদের সেবক নির্বাচিত করবেন। সুতরাং আমি আহ্বান করব, আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকাবাসী ভোট দিয়ে তাদের সেবক নির্বাচিত করবেন। যে সেবক দক্ষতা, যোগ্যতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে পারবেন; তাদের মৌলিক সেবাগুলো দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে পারবেন।
বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন— অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, সিনিয়র আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান প্রমুখ।