বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ

আবরার হত্যা মামলার পলাতক ৪ আসা‌মির বিষয়ে প‌ত্রিকায় বিজ্ঞ‌প্তির নি‌র্দেশ

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার পলাতক চার আসা‌মিকে হা‌জি‌র করতে প‌ত্রিকায় বিজ্ঞ‌প্তি প্রকা‌শের নি‌র্দেশ দি‌য়ে‌ছেন আদালত। একই সঙ্গে এ বিষ‌য়ে প্রতিবেদন দা‌খিলের জন্য আগামী ১৩ জানুয়া‌রি দিন ধার্য করা হ‌য়ে‌ছে।

আজ রোববার (৫ জানুয়া‌রি) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. কায়সারুল ইসলাম এ আ‌দেশ দেন।

রাজধানীর চকবাজার থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) ও পু‌লি‌শের উপ-প‌রিদর্শক মাঝহারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নি‌শিচত ক‌রে‌ছেন।

পলাতক চার আসা‌মি হ‌লেন- মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম ও মোস্তবা রাফিদ। এর ম‌ধ্যে মোস্তবা রা‌ফিদের নাম এজাহা‌রে ছিল না। পরে অভিযোগপত্রে তার নাম যুক্ত করা হয়।

এর আগে, গত ১৩ ন‌ভেম্বর মামলায় ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল ক‌রেন গো‌য়েন্দা পু‌লিশের (ডি‌বি) লালবাগ জোনাল টি‌মের প‌রিদর্শক মো. ওয়া‌হিদুজ্জামান।

প‌রে ১৮ নভেম্বর অভিযোগপত্র গ্রহণ করে পলাতক চার আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। প‌রোয়ানা অনুযায়ী, গ্রেফতার কর‌তে না পারায় গত ৩ ডি‌সেম্বর তা‌দের সম্পদ ক্রো‌কের নি‌র্দেশ দেওয়া হয়। রোববারের ম‌ধ্যে বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তি তা‌মি‌লের নি‌র্দেশ দেওয়া হ‌য়ে‌ছিল।

মামলায় অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৯ জন এবং এজাহার বহির্ভুত ৬ জন। গ্রেফতারদের মধ্যে ৮ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

তদন্ত চলাকালে মামলায় অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে ২১ জনকে গ্রেফতার করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তারা হ‌লেন- বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, সহ-সভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিওন, উপ-সমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ, উপ-আইন সম্পাদক অমিত সাহা, শাখা ছাত্রলীগ সদস্য মুনতাসির আল জেমি, মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির ও ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, আবরারের রুমমেট মিজানুর রহমান মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, মনিরুজ্জামান মনির, আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত এবং এস এম মাহমুদ সেতু। এর মধ্যে হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্তদের সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে ছাত্রলীগ।

গ্রেফতারদের ম‌ধ্যে ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মিজানুর রহমান মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত ও এস এম মাহমুদ সেতু ছাড়া বাকি সবাই এজাহারভুক্ত আসামি। এর ম‌ধ্যে আটজন আদাল‌তে স্বীকা‌রো‌ক্তিমূলক জবানব‌ন্দি দেন।

উল্লেখ্য, গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলে ছাত্রলীগের কিছু উচ্ছৃঙ্খল কর্মীর হাতে নির্দয় পিটুনির শিকার হয়ে মারা যান বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ। এ ঘটনায় পরদিন নিহতের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি মামলা করেন।