সোনালী ব্যাংকের প্রায় ১২৭ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় জামিন হয়নি ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার নেপাল চন্দ্র সাহার। তার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল শুনানি শেষে রুলটি নন প্রসিকিউশন মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ রোববার (১২ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না, দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফৌজিয়া আক্তার পপি। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুনশী মনিরুজ্জামান।
এর আগে এ মামলায় গত বছরের ২৬ নভেম্বর তাকে জামিন কেন দেওয়া হবে না সেই মর্মে দুই সপ্তাহের রুল দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
মামলার এজাহারে দেখা যায়, সোনালী ব্যাংক খুলনা করপোরেট শাখার প্রায় ১২৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, খুলনার উপসহকারী পরিচালক মোহা. মোশাররফ হোসেন খানজাহান আলী থানায় পাঁচ জনকে আসামি করে ২০১৭ সনের ২২ ফেব্রুয়ারি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় খুলনা নগরের খানজাহান আলী থানার মিরেরডাঙা এলাকার সোনালি জুট মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম এমদাদুল হোসেন, সোনালী ব্যাংক খুলনা করপোরেট শাখার সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) ও বর্তমানে প্রধান কার্যালয়ের জিএম নেপাল চন্দ্র সাহা, শাখার সহকারী কর্মকর্তা কাজী হাবিবুর রহমান, জ্যেষ্ঠ মুখ্য কর্মকর্তা শেখ তৈয়াবুর রহমান ও সাবেক ডিজিএম সমীর কুমার দেবনাথকে আসামি করা হয়।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, এমদাদুল কয়েক দফায় ৮৫ কোটি ৮০ লাখ ৬৯ হাজার ১৭৪ টাকা ব্লক ঋণ নেন। কিন্তু তিনি মালামাল না কিনে ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে এ টাকা আত্মসাৎ করেন। এতে ব্যাংকের ক্ষতি হয়েছে ১২৬ কোটি ৮২ লাখ ৯৩ হাজার ২৮২ টাকা।