ফরিদপুর মেডিকেলে ‘পর্দা কেলেঙ্কারি’

ফরিদপুর মেডিকেলে ‘পর্দা কেলেঙ্কারির’ ঘটনায় ৩ চিকিৎসক কারাগারে

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহুল আলোচিত ‘পর্দা কেলেঙ্কারির’ ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় তিন চিকিৎসককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। পরস্পর যোগসাজশে যন্ত্রপাতি ক্রয়ের মাধ্যমে সরকারের ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

আজ রোববার (১২ জানুয়ারি) ফরিদপুরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ এর দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১-এর বিচারক কামরুন্নাহার বেগমের আদালত এ আদেশ দেন।

হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আজ সকালে ওই তিন চিকিৎসক আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়ে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

ওই তিন চিকিৎসক হলেন- ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দন্ত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক গণপতি বিশ্বাস, গাইনি বিভাগের সাবেক জুনিয়র কনসালট্যান্ট মীনাক্ষী চাকমা ও সাবেক প্যাথলজিস্ট এ এইচ এম নুরুল ইসলাম।

অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১-এর বিশেষ কৌঁসুলি দুলাল চন্দ্র সরকার বলেন, ওই তিন চিকিৎসক গত ২ ডিসেম্বর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ থেকে ছয় সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নেন। হাইকোর্ট এ অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ শেষ হলে তাদের নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী আজ ওই তিন চিকিৎসক জেলার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১-এ হাজির হয়ে জামিন চান। আদালতের নির্দেশের পর ওই তিন চিকিৎসককে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে ফরিদপুর জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

গত বছরের ২৭ নভেম্বর দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ বাদী হয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তিনজন চিকিৎসক, দুজন ঠিকাদার, একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ মোট ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেন।