তিন মাসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে র্যাগিং বন্ধে ‘অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াড’ ও তা মনিটরিংয়ের জন্য কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এই সংক্রান্ত এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ রোববার (১২ জানুয়ারি) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
একইসঙ্গে র্যাগিংয়ের হাত থেকে শিক্ষার্থীদের মর্যাদা রক্ষায় বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন হাইকোর্ট। স্বরাষ্ট্র সচিব, শিক্ষা সচিব ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
এর আগে, ২০১৯ সালের ৯ অক্টোবর সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে র্যাগিং বন্ধসহ এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় কমিটি গঠন চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যানসহ তিন জনকে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান ছাড়াও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিবকে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছিল।
ওই নোটিশে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সার্বক্ষণিক সহায়তায় জন্য ‘এন্টি র্যাগিং কমিটি’ গঠন ও তা মনিটরিংয়ের জন্য ‘এন্ট্রি র্যাগিং স্কোয়াড’ গঠনে সাত দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হয়েছিল। কিন্তু ওই নোটিশের জবাব না পেয়ে চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন ইশরাত হাসান।