বাংলাদেশের উচ্চ আদালত

ইছামতি নদী দখলকারীদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট

পাবনা শহরের ভেতর দিয়ে প্রবাহমান ইছামতি নদী অবৈধভাবে দখল করে দূষণ সৃষ্টিকারীদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৯০ দিনের মধ্যে তালিকা তৈরি করে তা প্রতিবেদন আকারে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এক আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ রোববার (১২ জানুয়ারি) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

একইসঙ্গে, ৮৪ কিলোমিটার ইছামতি নদীকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন কেন ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। পাশাপাশি সিএস জরিপ/পর্চা অনুযায়ী নদীর সীমানা নির্ধারণ, দূষণ ও দখলমুক্ত করে দখলকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, তাও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।

ভূমি সচিব, পরিবেশ সচিব, পানি সম্পদ সচিব, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানসহ ১৬ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

ইছামতি নদীর দখল, দূষণ নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই সব প্রতিবেদন যুক্ত করে গত ৫ জানুয়ারি হাইকোর্টে রিট দায়ের করে পরিবেশবাদী আইনজীবীদের সংগঠন বেলা।

আবেদনের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন মিনহাজুল হক চৌধুরী, তাকে সহযোগিতা করেন সাঈদ আহমেদ কবির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

পরে সাঈদ আহমেদ কবির সাংবাদিকদের বলেন, পাবনার জেলায় প্রবাহিত ইছামতি নদী এক সময় সচল ছিল। পাবনাবাসীর জন্য এটি ছিল আর্শীবাদ। কিন্তু বর্জ্য ও দূষণে বর্তমানে নদীটি মৃত প্রায়। নদী দখল ও বাধা দেয়ায় নদীর মধ্যে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে নদী রক্ষায় আদালতে রিট করা হয়েছে। আদালত শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছেন।

পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উৎপত্তিস্থলে বাঁধ দেয়ায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ইছামতি নদীর পানির প্রবাহ। এরপর থেকে এ নদীর দুই পাশের নিচু জায়গা ও জলাভূমি বালু দিয়ে ভরাট করতে থাকে অবৈধ দখলদারেরা।

স্থানীয়রা জানান, ইছামতি রক্ষার জন্য তারা নানা সময় মানববন্ধন, স্মারকলিপি দেয়াসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন। কিন্তু দখলদারদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনও ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। তবে জেলা প্রশাসন বলছে, অবৈধ দখল উচ্ছেদের পাশপাশি শিগগিরই তারা নদী খনন কাজে হাত দিতে যাচ্ছে।