সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আ ক ম জহুরুল আলম ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। গতকাল শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে ইজতেমা ময়দানে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
ইজতেমাতে এক সঙ্গে থাকা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুল কুদ্দুস বাদল আজ শনিবার (১৮ জানুয়ারি) তাঁর মৃত্যুর খবরটি ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, একদম সুস্থ মানুষ ছিলেন, হঠাৎ করে বললেন ভালো লাগছে না, এরপরই তিনি আমাদের ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন।
মরহুমের নামাযে জানাজা ইজতেমা মাঠেই অনুষ্ঠিত হয়েছে জানিয়ে অ্যাডভোকেট আবদুল কুদ্দুস বাদল জানান, জহিরুল ইসলাম সাহেব খুবই পরহেজগার মানুষ ছিলেন, সুপ্রীম কোর্ট মসজিদের নিয়মিত মুসল্লি। আল্লাহ্ তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত দান করুন।
উল্লেখ্য, জহুরুল আলম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগের ছাত্র ছিলেন। বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রে উদ্দীপ্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যলয় শাখার দফতর সম্পাদক ( ১৯৭৮) ছিলেন । ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দে তিনি মুনসেফ পদে বিচার বিভাগে চাকুরীতে যোগদান করেন। খুলনা, পটুয়াখালী, নীলফামারী, লক্ষ্মীপুর ও রংপুরসহ বিভিন্ন জেলায় বিচারক পদে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি ২০১৬ সালে বাংলাদশ বার কাউন্সিলের সচিব পদেও দায়িত্ব পালন করেছেন। রণাঙ্গণের সশস্ত্র এই বীর মুক্তিযোদ্ধা চাকুরী জীবনে রাজাকারের কতিপয় স্বজনের দ্বারা নিগৃহীত হয়েছেন। এজন্য তাঁকে আদালতের স্মরণাপন্নও হতে হয়েছে।
বিচারিক দায়িত্ব থেকে অবসরের পর তিনি সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। তাঁর লাশ দাফনের জন্য ঝিনাইদহ জেলার হাট গোপালপুরস্থ তাঁর পৈতৃক বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই তাঁকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে।