ফৌজদারি মামলায় এক বছরের বেশি মেয়াদে দণ্ডিত হলে কোনো সরকারি কর্মকর্তা তাৎক্ষণিক চাকরি থেকে বরখাস্ত হবেন—সরকারি চাকরি আইনের এমন ধারাটি (ধারা-৪২) বাতিল চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি সচিবালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ের সচিব, আইনসচিবসহ সাত সচিব বরাবর গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে ওই নোটিশ পাঠান আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে ওই নোটিশ পাঠানো হয়। সাত দিনের মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। তা না হলে উচ্চ আদালতে রিট করা হবে।
বিষয়টি জানিয়ে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ গণমাধ্যমকে বলেন, প্রচলিত আদালত অবমাননার আইনে আদালতের আদেশ অমান্য করলে সর্বোচ্চ ছয় মাস সাজার বিধান আছে। আগের আইনে ছয় মাসের সাজা হলে সরকারি কর্মচারী চাকরি থেকে বরখাস্ত হতেন। যে কারণে আদালতের রায় বাস্তবায়ন প্রশাসনের কর্মকর্তার বাধ্য থাকতেন। তবে বর্তমান নতুন আইনে এক বছরের বেশি সাজা হলে সরকারি কর্মকর্তারা চাকরি হারাবেন। অর্থাৎ আদালত অবমাননার সাজা হলে তাঁকে চাকরি হারাতে হবে না। ফলে আদালতের আদেশ-নির্দেশ উপেক্ষা করার সাহস পাবেন।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ২০১৩ সালের আদালত অবমাননার আইন পরিবর্তন করে সরকারি কর্মকর্তাদের আদালতের কাছে জবাবদিহির সুযোগ কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এটি চ্যালেঞ্জ করা হলে উচ্চ আদালতে তা বাতিল ঘোষিত হয়। এবারও একই উদ্দেশ্যে এক বছরের বেশি সাজা হলে চাকরিচ্যুতির বিধান করা হয়েছে, যাতে আদালত অবমাননায় দণ্ডিত হলে কেউ চাকরি হারাবেন না। আইনের ৪২ ধারাটি সংবিধান ও উচ্চ আদালতের চেতনার পরিপন্থী বলে তা বাতিল চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।