বিধি অনুযায়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে ৬০ শতাংশ নারী নিয়োগ না দেওয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। পাশপাশি ২৯টি সহকারী শিক্ষক পদ সংরক্ষনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ভোলা জেলার ২৯ জন প্রার্থীর দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে আজ সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিচারপতি এ.এফ.এম নাজমুল হাসান ও বিচারপতি কে.এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সচিব এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট চারজনকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া এবং তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মোঃ মনিরুল ইসলাম রাহুল ও অ্যাডভোকেট সোহরাওয়ার্দী সাদ্দাম। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
আদেশের বিষয়টি ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে নিশ্চিত করে আইনজীবী ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, সরকারি শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৩ এর ৭ বিধিতে বলা হয়েছে সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদসমূহে ৬০ শতাংশ নারী প্রার্থী দ্বারা পূরণ করতে হবে কিন্তু চূড়ান্ত ফলাফলে ৬১ জেলায় ১৮, ১৪৭ জন চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়। ঘোষিত ফলাফলে নারী প্রার্থীদের তুলনায় পুরুষ প্রার্থীদের বেশি নির্বাচিত করা হয় যা বিধি লঙ্ঘন করে। একইভাবে ভোলা জেলায় সর্বমোট ৩৪৪ প্রার্থীকে চূড়ান্ত ফলাফলে নির্বাচিত করা হয়। তার মধ্যে ১২৭ জন নারী ও ২১৭ জন পুরুষ প্রার্থীদের নির্বাচিত করা হয়েছে। কিন্তু ৬০% মহিলা প্রার্থী হিসাবে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২০৬ জন মহিলা প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ার হকদার। যার পরিপ্রেক্ষিতে ভোলা জেলার ২৯ জন প্রার্থী ৬০% নারী কোটায় নিয়োগের নির্দেশনা চেয়ে রিট করলে আদালত শুনানি শেষে রুল জারি করেন।
রিটের বাদীরা হলেন- ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার আকলিমা বেগম, মারজানা ইয়াসমিন, সুমনা দেব নাথ পূজা, নাসরিন আক্তার, রোকেয়া বেগম, রাবেয়া বেগম, আকলিমা বেগম, খাদিজা বেগম লিমা, আছিয়া আক্তার লিজাসহ সর্ব মোট ২৯ জন।