বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) সরবরাহ করা অকটেন, পেট্রল ও ডিজেলের মান নিশ্চিতে আইন অনুসারে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে বিএসটিআইর নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না, রুলে তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
শিল্পসচিব, জ্বালানিসচিব, বিপিসি ও বিএসটিআইর চেয়ারম্যানসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে বিপিসির বাজারে বিপণন করা ওই সব জ্বালানি পণ্যের (ডিজেল, অকটেন ও পেট্রল) মান পরীক্ষা করে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ওয়াজি উল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম সাইফুল আলম।
গত বছরের ২২ অক্টোবর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘ভেজাল জ্বালানি তেল বিক্রি করছে বিপিসি’ শিরোনামে প্রতিবেদন ছাপা হয়। এর ভাষ্য, দেশে মানহীন জ্বালানি তেল বাজারজাত করছে বিপিসি। বাধ্যবাধকতা থাকলেও পেট্রল, অকটেন ও ডিজেলের মান সনদ গ্রহণ করছে না সংস্থাটি। প্রতিবেদনটি যুক্ত করে এ বিষয়ে নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জাহাঙ্গীর আলম চলতি বছরের ২ জানুয়ারি ওই রিটটি করেন।
রিট আবেদনকারী মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জ্বালানি তেল সরবরাহ করে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বিপিসি। ২ হাজার ১০০ পেট্রল পাম্পে তারা জ্বালানি সরবরাহ করে। এই জ্বালানি গাড়িতে ও সেচকাজের জন্য ক্রয় করা হয়ে থাকে। মানহীন এসব জ্বালানির কারণে গাড়ি ও সেচযন্ত্র বিকল হয়ে পড়ছে। বিএসটিআই থেকে মান সনদ নেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও বিপিসি কোনো মান সনদ নেয়নি। ফলে জনসাধারণ, বিশেষত গাড়ি ব্যবহারকারী ও কৃষক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন—এসব যুক্তিতে রিটটি করা হয়।