দেশের কারাগারগুলোতে ১১৭ চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। অবিলম্বে কারাগারে চিকিৎসকের এসব শূন্যপদ পূরণ করার জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে (ডিজি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
জনস্বার্থে করা এক রিটের শুনানি শেষে আজ বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
১৪১ চিকিৎসকের বিপরীতে কারাগারে আছেন মাত্র ১৫ জন। সম্প্রতি দেশের কারা হাসপাতালে ২০ জনকে চিকিৎসক হিসেবে পদায়ন করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর মধ্যে ৪ জন চিকিৎসক কারা হাসপাতালে যোগ দিয়েছেন। বাকি ১৬ জন চিকিৎসক কারা হাসপাতালে যোগ দেননি। এর মধ্যে ৪ জন চিকিৎসক শিক্ষাকালীন ছুটিতে রয়েছেন।
এর আগে, গত ২৩ জুন হাইকোর্ট এক আদেশে কারাগারে ধারণক্ষমতা, বন্দি ও বন্দিদের জন্য কতজন চিকিৎসক রয়েছেন তার তালিকা দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার আদালতকে জানান, যোগ না দেয়ায় ১১ জন ডাক্তারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।
শুনানিতে কারা অধিদপ্তরের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম আদালতকে বলেন, আরও ১১৭ জন ডাক্তারের পদশূন্য রয়েছে। তাদের নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। যদিও এটি সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।
এ সময় উচ্চ আদালত বলেন, জেলা কারাগারগুলোতে মানুষের দুর্ভোগ বেশি। সেখানে জেলার সিভিল সার্জনরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারেন।
এ সময় রিটকারী আইনজীবী জে আর খান রবিন বলেন, দেশের কেন্দ্রীয় কারাগারে সার্বক্ষণিকভাবে ২৪ জন চিকিৎসক কাজ করছেন। যদিও কারা অধিদপ্তরের মনোগ্রামে ১৪১ জন ডাক্তার কাজ করার কথা। ফলে পদ ফাঁকা আছে ১১৭ জন চিকিৎসকের।
পরে দেশের কারাগারের শূন্য পদে ১১৭ জন চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। দ্রুত এ নিয়োগ দিয়ে আগামী এক মাসের মধ্যে কতজন নিয়োগ দেয়া হলো তার প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।