মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে এবং জাল জখমী সনদ দাখিল করে মামলা করায় বাদী মোসলেহ উদ্দিন মিন্টুকে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে নোয়াখালীর একটি আদালত। একইসঙ্গে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়।
আজ বুধবার (২৯ জানুয়ারি) নোয়াখালী জেলার অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জনাব আলমগীর মুহাম্মদ ফারুকী এ রায় ঘোষণা করেন।
ঘটনার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৭ আগস্ট মোসলেহ উদ্দিন মিন্টু নামের এক ব্যক্তি মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে ও জাল জখমী সনদ দাখিল করে নোয়াখালী জেলার চরজব্বার থানায় আসামি আবুল কাশেমসহ মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা উক্ত জাল জখমী সনদের ভিত্তিতে আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার সাক্ষ্য পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট বাদী ও ভিকটিম মো. মোসলেহ উদ্দিন মিন্টু হাসপাতালে ভর্তি হননি এবং জখমী সনদ সৃজিত (জাল) মর্মে আদালতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রতিবেদন দাখিল করেন। বারবার প্রসেস প্রেরণ করার পরও তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বাদী সাক্ষ্য প্রদানের জন্য আদালত উপস্থিত হননি। এমতাবস্থায় বাদীকে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ দেন আদালত।
অবশেষে আজ বাদীর অনুপস্থিতিতে আদালত ফৌজদারি কার্যবিধির ২৫০ ধারা অনুযায়ী বাদীকে আসামিদের বরাবর ১০০০ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশ দেন। ক্ষতিপূরণ অনাদায়ে তাকে ১০ (দশ) দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। একইসঙ্গে বাদীকে ফৌজদারি কার্যবিধির ২৫০(৫) ধারায় আরও অতিরিক্ত ১৫(পনেরো) দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
পাশাপাশি মামলার ঘটনায় আসামীদের সম্পৃক্ততা না থাকা সত্ত্বেও তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘটনায় আসামীদের সম্পৃক্ত করে এবং জখমী সনদের সত্যতা যাচাই না করে জাল জখমী সনদের ভিত্তিতে অভিযোগপত্র দাখিল করায় তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মো. রবিউল ইসলাম, চরজব্বার থানা, নোয়াখালীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়। রায়ের কপি ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রেরণ করা হয়।
এছাড়া মামলায় গৃহীত সাক্ষ্য প্রমাণে আনীত অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত না হওয়ায় আসামীদের বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়।