নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির এবারের নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা সরে দাঁড়ানোয় আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীদের ১৭ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।
জেলা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
রাতে ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার আখতার হোসেন। নির্বাচনে ৯২২ জনের মধ্যে ৬২২ জন ভোট দেন। ভোট গ্রহণের হার ছিল শতকরা ৭০ শতাংশ।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির এবারের নির্বাচনে সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ থেকে বিজয়ীরা হলেন- সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট বিদ্যুৎ কুমার সাহা, সহ-সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট মো. তাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট মো. মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট বরুন চন্দ্র দে, কোষাধ্যক্ষ পদে অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান কাজল, আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট আবুল বাশার রুবেল, লাইব্রেরি বিষয়ক সম্পাদক পদে মাহমুদুল হক মমিন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ রাশেদ ভূইয়া, সাহিত্য ও সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট ফাহমিদা আক্তার সিমি, সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট হাসিবুল হাসান রনি, আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট নুসরাত জাহান তানিয়া, সদস্য পদে অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান সাগর, অ্যাডভোকেট আজীম ভূইয়া, অ্যাডভোকেট মো. কামরুল হাসান, অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন সুজন ও অ্যাডভোকেট কামরুন নেসা সুবর্না।
উল্লেখ্য, ২০১৮-১৯ সেশনে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির ১৭টি পদের মধ্যে দুজন সহ-সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষসহ মোট ১১ পদ বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের দখলে ছিল। আর বাকি ৬টি পদ ছিল আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের দখলে। গত বছর আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা ১৭ পদের বিপরীতে ১৬টিতে জয়ী হন।
এবারের নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করা হয় অ্যাডভোকেট মো. আখতার হোসেনকে। তার সঙ্গে সহকারী নির্বাচন কমিশনার হিসেবে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. আশরাফ হোসেন, অ্যাডভোকেট আ. রহিম, অ্যাডভোকেট মেরিনা বেগম ও অ্যাডভোকেট সুখচাঁদ সরকার।
নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব ও আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ এনে একদিন আগে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।