অস্ত্র মামলায় বিতর্কিত ঠিকাদার জি কে শামীমের জামিন মঞ্জুর করে দেওয়া আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর ফলে ওই মামলায় জি কে শামীমের জামিন আর থাকল না।
আজ রোববার (৮ মার্চ) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মুজিবুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আগের আদেশ প্রত্যাহার করে এ আদেশ দেন।
এর আগে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি অস্ত্র আইনের মামলায় জি কে শামীমকে ছয় মাসের জামিন দেন একই বেঞ্চ। এই জামিনের বিষয়টি গতকাল জানাজানি হয়। সম্পূরক কার্যতালিকায় বিষয়টি আজ আদেশের জন্য ওঠে। শুনানি নিয়ে আদালত আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এফ আর খান। জি কে শামীমের পক্ষে ছিলেন, আইনজীবী মমতাজউদ্দিন আহমদ মেহেদী ও শওকত ওসমান।
এর আগে ৪ ফেব্রুয়ারি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় বিচারপতি মো রেজাউল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক বছরের জন্য জি কে শামীমকে জামিন দেন।
জি কে শামীমের বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা আছে। গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন জি কে শামীম। তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক, অর্থ পাচার ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মোট চারটি মামলা হয়।
অস্ত্র মামলায় দেওয়া অভিযোগপত্রে বলা হয়, জি কে শামীম একজন চিহ্নিত চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, অবৈধ মাদক এবং জুয়ার ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। তাঁর সহযোগীরা উচ্চ বেতনভোগী দুষ্কর্মের সহযোগী। তাঁরা অস্ত্রের লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করে প্রকাশ্যে এসব অস্ত্রশস্ত্র বহন ও প্রদর্শন করেছেন। এর মাধ্যমে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করে বিভিন্ন ধরনের টেন্ডারবাজি, মাদক ব্যবসাসহ স্থানীয় বাস টার্মিনাল ও গরুর হাটবাজারে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন। আসামি শামীম অস্ত্রের শর্ত ভঙ্গ করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে মাদক ব্যবসা ও মানি লন্ডারিং করে আসছিলেন।
গত বছরের ২১ অক্টোবর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জিকে শামীমের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় শামীমের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি ৯ লাখ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ থাকার অভিযোগ আনা হয়।