চেক প্রত্যাখ্যানের (ডিজঅনার) মামলায় এক বছরের সাজা হলেও ২০১৫ সাল থেকে দীর্ঘ চার বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে থাকা মুন্সিগঞ্জের কোলাপাড়া গ্রামের রেজাউল কবির সুইটকে দ্রুত মুক্তি দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
পাশাপাশি আদালত রুলও জারি করেছেন। রুলে এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে বেশি সময় ধরে কারাগারে রাখা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮ এর বিচারক, আইজি প্রিজন, গাজীপুরের জেল সুপার, কাশিমপুরের সিনিয়র জেল সুপার এবং মামলার বাদী মো. মজিবুর রহমানকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে আগামী ৩০ এপ্রিল এ মামলার নিম্ন আদালতের নথি তলব করেছেন হাইকোর্ট।
আদালতে রেজাউল কবির সুইটের রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী আসাদ উদ্দিন।
এর আগে চেক প্রত্যাখ্যানের মামলায় ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট মুন্সিগঞ্জের কোলাপাড়া গ্রামের রেজাউল কবির সুইট গ্রেফতার হন। এরপর ২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর নিম্ন আদালত তাকে পলাতক দেখিয়ে এক বছরের সাজা প্রদান করেন। অথচ ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে কখনোই তিনি জামিনে মুক্ত হতে পারেননি। ২০১৯ সালের ৬ আগস্ট তিনি জেল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আদালত বরাবর একটি পত্র প্রেরণ করেন। এ পত্রে উল্লেখ করা হয় যে, ২০১৫ সাল থেকে চেক প্রত্যাখ্যানের মামলায় তিনি কারাগারেই আছেন। অথচ এসব তথ্য নিম্ন আদালতের নজরে আনলেও আদালত এই পত্রের ভিত্তিতে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। এরপর তিনি হাইকোর্টে একটি রিট মামলা করেন।
মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, এক বছর মেয়াদি সাজা হওয়া সত্ত্বেও রিট আবেদনকারী ২০১৫ সাল থেকে আজ অবধি কারাভোগ করছেন, যা সংবিধানের ৩১, ৩২ ও ৩৩ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক। এছাড়া ঘটনাটি সংবিধানের ১০২(২)(খ)(অ) অনুচ্ছেদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তাই এই রিট দায়ের করা হয়।