রেসকোর্স ময়দানে দেওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ সংবিধানের পঞ্চম তফসিলে অসম্পূর্ণ ও ভুলভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার (১০ মার্চ) বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল আলিম মিয়া জুয়েল ও সুবীর নন্দী দাস। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।
পরে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আমাদের সংবিধানের তফসিলে ৭ মার্চের ভাষণ সন্নিবেশিত আছে, পিটিশনারের বক্তব্য মতে সেখানে মূল বক্তব্য যেটা ছিল তার থেকে বিচ্যুতি হয়েছে শব্দগতভাবে। এ ব্যাপারে কোর্ট একটা রুল ইস্যু করেছেন এবং সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন একটা হাই পাওয়ার কমিটি গঠন করার জন্য। যে কমিটিতে ৭ মার্চের ভাষণের সময় যারা মাঠে ছিলেন তাদের ভেতরে কাউকে অন্তর্ভুক্ত করা, নানা রকম তথ্য-উপাত্ত এবং আর্কাইভ থেকে অডিও সংগ্রহ করে তুলনা করা যে, ভাষণটি সঠিকভাবে সন্নিবেশিত হয়েছে কিনা।
রিট আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস জানান, ৬ সপ্তাহের মধ্যে এই কমিটির প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এর আগে রেসকোর্স ময়দানে দেওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ সংবিধানে ভুলভাবে অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে রাজবাড়ীর কাশেদ আলী বাসিন্দা রিট করেন।
রিটের পর সুবীর নন্দী দাস জানান, বঙ্গবন্ধুর ভাষণের হুবহু সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। অনেকগুলো ভুলভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আইন সচিব, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক সচিব, তথ্য সচিব এবং চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের পরিচালককে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।