ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ সারাদেশের ভূমি রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া অটোমেশন করা হবে। এরইমধ্যে এ সম্পর্কিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) প্রস্তুতের কাজ চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, এই প্রক্রিয়ায় একইসঙ্গে ভূমির নামজারি, মালিকানা, রেকর্ড, খাজনা পরিশোধ, ভূমি জরিপের বিষয়গুলো ভূমি নিবন্ধন কার্যক্রমের সঙ্গে সমন্বয় করা হচ্ছে। এই পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা গেলে ব্যবসা সহজ করতে সম্পত্তি নিবন্ধন সূচকের ইতিবাচক ও দৃশ্যমান অগ্রগতি অর্জিত হবে।
ঢাকায় প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) আয়োজিত ‘ব্যবসা সহজীকরণে সম্পত্তি নিবন্ধন সূচক’ বিষয়ক এক কর্মশালায় রোববার (০৮ মার্চ) প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এতে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন।
আনিসুল হক বলেন, ব্যবসা কিংবা শিল্প আমাদের দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। কারণ, আমাদের আরো পরিকাঠামোগত উন্নয়ন চাই, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ কর্মসংস্থান চাই এবং সেই সঙ্গে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে সবার মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিও করতে চাই।
তিনি বলেন, বিনিয়োগের পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারলেই আমাদের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। শিল্প এবং ব্যবসা সঠিক লক্ষ্যে যথাযথ গতিতে এগিয়ে চললে সাধারণ মানুষ এর মাধ্যমে উপকৃত হবেন। উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে সহযোগিতার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সালের ব্যবসা সহজীকরণ বিষয়ক বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্বের ১৯০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৮তম, বিগত বছরে যা ছিল ১৭৬তম। এ অগ্রগতি সত্ত্বেও আমরা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শুধুমাত্র আফগানিস্তান থেকে এগিয়ে আছি। আমাদেরকে আগামী ২০২১ সালের মধ্যে ব্যবসা সহজীকরণের সূচকে দুই অংকের অবস্থানে যেতে হবে। কাজেই এক্ষেত্রে আরও অনেক উন্নতি করতে হবে।
বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, লেজিসলেটিভ ও ড্রাফটিং বিভাগের সচিব নরেন দাস, নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শহীদুল আলম ঝিনুক, ঢাকা মেট্টোপলিটান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি নিহাদ কবীর প্রমুখ বক্তৃতা করেন।