হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় জালিয়াতি করে জামিন নেয়ার চেষ্টায় ধরা পড়া দুই আসামিসহ তদবিরকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে শাহবাগ থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এ ঘটনায় আসামিদের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জুলফিকার আলী জুনুর কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
হাইকোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বুধবার (১১ মার্চ) এই আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুনুর রশিদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ শাহীন মৃধা।
আসামিরা হলেন- কক্সবাজারের চকরিয়া থানার ছায়েরাখালীর জামাল উদ্দিন ও কামাল উদ্দিন। তাদের মামলার তদবিরকারী জনৈক নাজিম উদ্দিনের স্ত্রী সীমা।
জানা গেছে, আসামিদের বিরুদ্ধে শামসুল আলম ও রুহুল আলম বাদী হয়ে কক্সবাজারের চকরিয়া থানায় গত ৪ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি হত্যাচেষ্টার অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা করেন। মামলায় একটিতে চারজন ও অপরটিতে ১৫ জনকে আসামি করা হয়।
এ দুটি মামলায় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আসামি জামাল উদ্দিন ও কামাল উদ্দিন হাজির হয়ে জামিন আবেদনের পর হাইকোর্টের বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ দুই সপ্তাহের জামিন দেন। এই সময়ের মধ্যে তাদেরকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়া হয়। একই দিন ওই মামলার অন্য আসামিরা হাইকোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে আগাম জামিনের আবেদন জানান। আদালত তাদেরকে দুই সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
এদিকে জামাল ও কামাল হাইকোর্টের আদেশ পালন না করেই তথ্য গোপন করে ফের আগাম জামিন চেয়ে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদন জানান। বুধবার দ্বিতীয় দফায় করা আগাম জামিন আবেদনের শুনানিতে বিষয়টি নজরে আসে। এরপর আদালত আদেশ দেন।
শাহীন মৃধা বলেন, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি এই দুই আসামির আবেদনের পক্ষেও আইনজীবী ছিলেন জুলফিকার আলী জুনু। তিনি তথ্য গোপন করে আসামিদের পক্ষে দ্বিতীয় দফায় আগাম জামিন চেয়েছেন। আমরা আগের জামিন আদেশের পর আইনজীবী যে সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন, সেটি আদালতে দাখিল করেছি। সেটা দেখার পর দুই আসামিকে আদালত থেকেই শাহবাগ পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। তাদেরকে পুলিশে সেপার্দ করে মামলা করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া আইনজীবী কেন তথ্য গোপন করেছে এক সপ্তাহের মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।