ভারতে সাতবছর ধরে বিনা পারিশ্রমিকে লড়ে শেষমেশ নির্ভয়ার চার ধর্ষককে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলিয়ে টুইটারে ‘হিরো’ হয়ে উঠেছেন সীমা কুশওয়াহা। ইনিই হচ্ছেন সেই নারী আইনজীবী, যিনি ন্যায়বিচারের জন্য এতদিন আদালতে যুক্তিতর্কের সঙ্গে লড়েছেন। নিজের পেশার খাতিরে নয়, দীর্ঘদিন এ মামলা কুশওয়াহা লড়েছেন শুধু মানবিকতার খাতিরে।
৭ বছর ধরে নির্ভয়ার পরিবারের সুখদুঃখের সঙ্গী ছিলেন তিনি। নির্ভয়ার বাবা-মায়ের কাছ থেকে মামলা লড়ার জন্যে একটি টাকাও তিনি নেননি। শুক্রবার সকাল থেকেই টুইটারের শীর্ষে ‘#সীমা কুশওয়াহা’ ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
‘ভাগ্য সাহসীদের সঙ্গে থাকে’ এই প্রবাদবাক্য ফলে গিয়েই যেন শুক্রবার সাফল্যের হাসি হাসলেন আইনজীবী সীমা কুশওয়াহা। নির্ভয়া মামলার ৪ আসামি ফাঁসিতে ঝোলার সঙ্গে সঙ্গে টুইটারে অসংখ্য মানুষ অভিনন্দনের বন্যায় ভাসিয়েছেন তাকে। শুক্রবার সকাল থেকেই টুইটারে ‘হিরো, সীমা কুশওয়াহা’ লিখে তাকে অভিনন্দন জানিয়েছে মানুষজন।
দিল্লিতে নির্ভয়ার চার ধর্ষক ফাঁসিতে ঝুললো
দিল্লির তিহার জেলে ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পর সীমাকে সবার আগে অভিনন্দন জানান নির্ভয়ার মা আশা দেবী। তিনি বলেন, এই আইনজীবী ছাড়া এ যুদ্ধে জেতা সম্ভব হত না তাদের পক্ষে।
২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর দিল্লির রাস্তায় চলন্ত বাসে প্যারামেডিক্যালের এক তরুণীকে ধর্ষণ এবং পরে হাসপাতালে তার মারা যাওয়ার ঘটনা গোটা ভারতে আলোড়ন তুলেছিল।
ধর্ষকদের ছয় জনের মধ্যে একজন নাবালক হওয়ায় তিন বছর হোমে থেকে মুক্তি পেয়ে যায়। আরও একজন রাম সিং তিহাড় জেলেই আত্মহত্যা করে। বাকি চারজনের ফাঁসি দীর্ঘ অপেক্ষার পর শেষ পর্যন্ত কার্যকর হয় ২০ মার্চ শুক্রবার ভোরে।