তানজিম আল ইসলাম:
মাননীয় চিকিৎসকবৃন্দ,
আপনারা এই সময়ে দুঃসময়ের কান্ডারি, বিপদের বন্ধু, এই সময়ে আপনাদের ভুমিকাই পারে দেশের মানুষের মনোবল চাঙ্গা করতে। দেশে করোনা ছাড়া অন্যান্য হাজার হাজার রোগীও আছে। আপনাদের পেশা আর অন্য দশটা পেশার মত নয়। এটা সেবা করার এক বিশাল সুযোগের পেশা।
হাইকোর্ট বিভাগ কিছুদিন আগে আপনাদের জাতীয় বীর কেন ঘোষনা করা হবেনা এই মর্মে রুল জারি করেছে। এর মানে আপনাদের বুঝতে হবে। দেশে ৭১ এর পর আরেক যুদ্ধ শুরু হয়েছে আর এই যুদ্ধে আপনারাই পারেন দেশকে জেতাতে। আপনারা আসলেই জাতীয় বীর।
অনেকেই বলছেন প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ রাখা তার নিজের বিষয়। এর মানে কি? আপনারাইতো বলেন এটা সেবামুলক পেশা। তাহলে কি সেবার মধ্যে বিজনেস রয়েছে? আমি বলছিনা আপনাকে জান প্রাণ দিয়ে রোগীর চিকিৎসা দিতে হবে। আপনারা নিজের এবং আপনাদের ফ্যামিলির দিকটাও দেখতে হবে। তবে এইজন্য একটা সমন্বিত সতর্কতামূলক পন্থা নিন।
আপনার হাজার রোগী আপনার একটু সেবা পেলেই আত্মবিশ্বাস পাবে। আপনারা নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই সেবা দিন। আপনারাই ভালো জানেন মেডিকেল সায়েন্সে কিসে আপনাদের নিরাপত্তা হবে। প্লিজ আপনারা ভয় পেলে আমাদের কি হবে?
আপনারাই কিন্তু প্রাইভেট প্র্যাকটিস কে জোড়ালো করেছেন তাই সরকারি হাসপাতালে না পাওয়া গেলেও আপনাদের ব্যক্তিগত চেম্বারে ঠিকই দেখা মিলত। এখন যেহেতু নিজেদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ রাখছেন তাহলে সরকারি হাসপাতালেই প্রাইভেট প্রাকটিসের সময়টুকু দিন। আপনারা পিপিই না পেলে সরকারকে বলুন। দাবী জোড়ালো করুন।
একবার চিন্তা করুন আমার বৃদ্ধ বাবা মা হঠাৎ করে ক্রিটিকাল অবস্থা হয় আমার সন্তানেরা ক্রিটিকালি ইল হলে আল্লাহর পর আপনার দিকেই তাকিয়ে থাকি। আপনি এমন হাজার হাজার বাবা মায়ের সন্তান আপনি এমন হাজার হাজার সন্তানের পিতা মাতার মতন।
প্লিজ সেবা দিন। নিজেকে সুরক্ষিত রেখেই সেবা দিন। সেবার দরজা বন্ধ করে দেওয়া পাপ।
লেখক: আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।