করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে বন্ধ রয়েছে সব কিছু। আদালত অঙ্গনও। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে কবে সেটাও বুঝে উঠা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। স্বাভাবিক হলেও সামনে অর্থনৈতিক ধাক্কা আছে সেই বিষয়টি পরিস্কার। যার ফলে নবীন আইনজীবীদের মাঝে একরকম হতাশা কাজ করছে। কারণ এই নবীনরা মাসে যা আয় করেন তা প্রতিমাসেই তাদের ফুরিয়ে যায়। অপরদিকে মর্যাদার ভয়ে কারও কাছে সাহায্যের হাত বাড়াতেও আছে অস্বস্তি। এমন পরিস্থিতিতে আইনজীবীরা তাকিয়ে আছেন আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিল এবং আইনজীবী সমিতির দিকে। এই নিয়ে কিছুদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে আইনজীবীরা লেখালেখিতে সরব।
এমন পরিস্থিতিতে কি ভাবছেন বার কাউন্সিল? জানতে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের লিগ্যাল এডুকেশন কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নজীব উল্লাহ্ হিরু’র সাথে যোগাযোগ করেন ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডট কম’র সম্পাদক অ্যাডভোকেট বদরুল হাসান কচি।
স্যার, প্রিয় আদালত প্রাঙ্গনে যাচ্ছেন না অনেকদিন। সময়টি কেমন কাটছে?
নজীব উল্লাহ্ হিরু: ধানমন্ডিতে ফাঁকা রাস্তায় মাঝে মধ্যে দু-চারটি গাড়ি, রিকশা চলেছে। রিলিফের আশায় হত দরিদ্র কিছু মহিলা এদিক সেদিক হাঁটাহাটি করছে। এই দীর্ঘ কর্মহীন সময়ে ওরা ভাইরাসের ভয়ের চেয়ে প্রচন্ড খাদ্য সংকটে। এই সময়ে আমাদের অনেক অপেক্ষাকৃত তরুণ আইনজীবীদের কথা মনে আসছে যারা পেশায় এখনও নড়বড়ে। সকল সিনিয়র আইনজীবীদের অনুরোধ করছি, দয়া করে আপনার জুনিয়রের খোঁজ নিন। বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ও ঢাকা সহ সকল জেলা আইনজীবী সমিতিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা একান্ত আবশ্যক।
আপনি তো বার কাউন্সিলের সদস্য। সারাদেশের আইনজীবীরা তাদের কল্যাণে আপনাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। আদালত বন্ধ। নবীন আইনজীবীদের হতাশায় দিন কাটছে। এই সংকটপূর্ণ সময়ে তাদের বিষয়টি কিভাবে ভাবছেন?
নজীব উল্লাহ্ হিরু: এখন তো সব কিছু বন্ধ। বার কাউন্সিলের মিটিং করার পরিস্থিতি নেই। যেহেতু ব্যক্তিগত প্রোটেকশন নেই, তাই সবাই নিরাপত্তাহীনতায় আছেন। তারপরও আমরা টেলিফোনে যোগাযোগ করছি। আমি নবীন আইনজীবীদের সংকটের বিষয়টি নিয়ে মাননীয় আইনমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছি। এছাড়া বার কাউন্সিলের মাননীয় ভাইস চেয়ারম্যানও আইনমন্ত্রী মহোদয়ের সাথে ফোনে কথা বলেছেন। আমাদের দুইজনকেই মাননীয় আইনমন্ত্রী আশ্বস্ত করে বলেছেন, আইনজীবীদের সহায়তার বিষয়টি তিনি চিন্তা ভাবনা করছেন।
কবে নাগাদ এই বিষয়ে চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারবেন বলে ধারণা করছেন?
নজীব উল্লাহ্ হিরু: সামনে সরকারের সাধারণ ছুটি শেষ হলেই আমরা বার কাউন্সিল একটি জরুরি সভা ডেকে এই বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত নিতে পারব বলে আশা করছি।
বার কাউন্সিল ছাড়াও আইনজীবী সমিতিগুলোর পক্ষ থেকে কোন উদ্যোগ গ্রহণের জন্য আপনাদের কোন নির্দেশনা দেয়ার পরিকল্পনা আছে কি?
নজীব উল্লাহ্ হিরু: আমরা বিভিন্ন জেলা বারের সভাপতি/সাধারন সম্পাদকের সাথে যোগাযোগ করে সেই সব বারের পক্ষ থেকেও আইনজীবীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ করবো। ইতোমধ্যে আমরা যোগাযোগের চেষ্টা করছি।