করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আগামী ৫ মে পর্যন্ত দেশের সব আদালত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে প্রত্যেক জেলা ও দায়রা জজ এবং মহানগর এলাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতকে সুবিধামতো প্রতি সপ্তাহের যেকোনো দুই দিন কঠোরভাবে সামাজিক দূরুত্ব বজায় রেখে জরুরি জামিন শুনানি নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতির আদেশক্রমে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টার জেনারেল আলী আকবর একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেন।
এতে বলা হয়, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিজে অথবা তার নিয়ন্ত্রণাধীন এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট ছুটির সময়ে সুবিধামতো প্রতি সপ্তাহের যেকোনো ২ দিন কঠোরভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জরুরি জামিন শুনানির (কারাগারে থাকা হাজতী আসামির আবেদনসহ) সীমিত আকারে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনার ব্যবস্থা গ্রহণে নির্দেশ দেয়া হলো।
এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের গত ১১ এপ্রিলের নির্দেশনার ধারাবাহিকতায় পুনরায় উল্লেখ করা হচ্ছে, যেসব ফৌজদারি মামলায় আসামিকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত জামিন প্রদান করা হয়েছে বা যেসব মামলায় উচ্চ আদালত হতে অধস্তন আদালতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আত্মসমর্পণের শর্তে জামিন প্রদান করা হয়েছে, বা যেসব মামলায় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা/স্থিতাবস্থা/স্থগিতাদেশের আদেশ প্রদান করা হয়েছে, সেসব মামলার আদেশের কার্যকারিতা আদালত নিয়মিতভাবে খোলার তারিখ হতে ২ সপ্তাহ পর্যন্ত বর্ধিত হয়েছে বলে গণ্য হবে। সাধারণ ছুটির সময়ে মামলাগুলোর বিষয়ে কোনো আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করা হবে না।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, একটি মামলার জামিন শুনানিতে শুধ্র একজন আইনজীবী অংশগ্রহণ করবেন। আদালত প্রাঙ্গণে এবং এজলাস কক্ষে সামাজিক দূরত্বের নিয়মকানুন কঠোরভাবে অনুসরণ করা না হলে আদালতের কার্যক্রম স্থগিত করতে হবে। আদালত প্রাঙ্গণে এবং এজলাস কক্ষে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে স্ব স্ব আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং কার্যকরী কমিটির সদস্যদের সাথে আলোচনা করে জেলা ও দায়রা জজ/মহানগর দায়রা জজ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবেন।
এছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে জামিন শুনানিকালে করাগারে থাকা অসামিদের প্রিজনভ্যান বা অন্য কোনোভাবে আদালত প্রাঙ্গণে ও এজলাস কক্ষে হাজির না করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই আদেশ বলবৎ থাকবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।