করোনো রোগী শনাক্ত করতে প্রতি জেলায় পিসিআর ল্যাব স্থাপন করার জন্যে সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে বলা হয়েছে, নোটিশটি পাওয়ার ৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রত্যেক জেলায় করোনা শনাক্তকরণের জন্য পিসিআর ল্যাব স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন অন্যথায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান লিংকন বুধবার জনস্বার্থে ইমেইলে নোটিশটি পাঠান। নোটিশে স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের সচিব ছাড়া অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে। আইনজীবী ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডট কমকে সংবাদটি নিশ্চিত করেছেন।
নোটিশে বলা হয়, ইতিমধ্যে দেশে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আর এই ব্যধিতে অধিক সংখ্যক মানুষ সংক্রমিত কি-না সেটা পরীক্ষা করা ছাড়া এই ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব না। তাই সংক্রমিত করোনা ভাইরাস নমুনা সংগ্রহ করে টেস্ট করার জন্য প্রত্যেকটা জেলা শহরে পিসিআর ল্যাব স্থাপন করার জন্যে সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিস পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে সারাদেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে এবং প্রত্যেকটা জেলা শহরে পিসিআর ল্যাব না থাকায় জেলা থেকে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে অন্য জেলায় পাঠানো হচ্ছে এবং রিপোর্ট আসতে অনেক ক্ষেত্রে ৭ থেকে ১০ দিন সময় লেগে যাচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে কোনো ব্যক্তি সংক্রমিত কি-না তা চিহ্নিত করা সম্ভব হচ্ছে না। ইতোমধ্যে যদি কেউ সংক্রমিত হয়ে থাকে তাহলে তার ক্ষেত্রে আইসোলেশন বা তার চিকিৎসার সুযোগ তৈরি হচ্ছে না, যার ফলে এই ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
নোটিশে আরও বলা হয়, যেহেতু আইসোলেশনে থাকা এই সংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধের একমাত্র পদ্ধতি সে ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তিকে যদি চিহ্নিত করা না যায় যে সে সংক্রমিত কি-না তাহলে ওই ব্যক্তি সাধারণভাবে চলাফেরা করার কারণে অধিক সংখ্যক মানুষ সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। সুতরাং এই মুহূর্তে সব থেকে জরুরি তাৎক্ষণিকভাবে রোগীকে চিহ্নিত করা এবং তা দ্রুত পরীক্ষার মাধ্যমেই সম্ভব। তাই রোগী শনাক্ত করার জন্যে প্রত্যেকটা জেলা সদরের হাসপাতালে পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা অত্যন্ত জরুরি।