কাওসার আহ্মেদ:
সম্প্রতি অনেকেই মত প্রকাশ করেছিলেন যে বর্তমানে দেশে কোভিড-১৯ নামক মহামারী নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে অবিলম্বে জরুরী-অবস্থা ঘোষণা করা প্রয়োজন। তাদের মতে উপরেল্লিখিত মহামারী হতে উদ্ভুত পরিস্থিতি সংবিধানে ১৪১ক অনুচ্ছেদে উল্লেখিত‘অভ্যন্তরীণ গোলযোগ’ (Internal Disturbance) -এর অর্থে গ্রহণ করা যায় বিধায় তা জরুরী-অবস্থা ঘোষণার জন্য প্রযোজ্য শর্ত পূরণ করে। বর্তমান লেখক এক্ষেত্রে ভিন্নমত পোষণ করে এবং তা নিম্নরূপ।
প্রথমেই বলা উচিত যে ইংরেজি ‘Internal Disturbance’-শব্দটির সু-প্রতিষ্ঠিত আইনগতঅর্থ বিদ্যমান আছে অথচ বাংলা শব্দ ‘অভ্যন্তরীণ গোলযোগ’-এর কোন বিশেষ আইনগত তাৎপর্য নেই। প্রতীয়মান হয় যে‘অভ্যন্তরীণ গোলযোগ’কে ‘Internal Disturbance’ এর বাংলা পরিভাষা হিসাবেই গ্রহণ করা হয়েছে। এমতাবস্থায়, বর্তমান লেখক ‘অভ্যন্তরীণ গোলযোগ’ শব্দটিকে ইংরেজি ‘Internal Disturbance’-এর অর্থেই গ্রহণ করেছেন। অন্যভাবে বলতে গেলে ‘অভ্যন্তরীণ গোলযোগ’শব্দটিকে বর্তমান লেখক আইনি তাৎপর্যবিহীন সাদামাঠা অর্থে গ্রহণ করার পক্ষপাতী নন।
উপমহাদেশের পাবলিক আইনে Internal Disturbance শব্দটির উপস্থিতি বেশ পুরনো। দেখা যায়, The Government of India Act, 1935-এ গভর্নর জেনারেল কর্তৃক জরুরী-অবস্থাঘোষণার পূর্বশর্ত হিসাবে War বা Internal Disturbance এর উল্লেখ আছে (দ্র. ধারা ১০২)। [পূর্ববর্তী The Government of India Act 1919-এজরুরী-অবস্থা বা State of Emergency-র উল্লেখ থাকলেওInternal Disturbance শব্দটি অনুপস্থিত]। পরবর্তীতে ভারত এবং পাকিস্তানের সংবিধানে Internal Disturbance শব্দটির উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। ভারতের সংবিধানে অবশ্য পরবর্তীতে জরুরী-অবস্থা ঘোষণার পূর্বশর্ত হিসাবে Internal Disturbance শব্দটি ‘Armed Rebellion’ দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছে। পাকিস্তানের সংবিধানে Internal Disturbance জরুরী-অবস্থা ঘোষণার পূর্বশর্ত হিসাবে বিদ্যমান আছে।লক্ষণীয় যে,জরুরী-অবস্থা ঘোষণার পূর্বশর্ত হিসাবে উপর্যুক্ত আইনগুলোতে যখন Internal Disturbance সন্নিবেশিত হয়েছে তখন তা যুদ্ধ (War) এবং/বা বহিরাক্রমণের (External Aggression) সাথে এক কাতারে স্থান পেয়েছে। উল্লেখ্য যে, যুদ্ধ, বহিরাক্রমণ প্রভৃতি আন্তর্জাতিক হিউম্যানিটারিয়ান আইনের অধিভুক্ত বিষয় হিসেবে পরিগণিত।
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটি ১৯৫০-এর দশক থেকেই হিউম্যানিটারিয়ান প্রেক্ষাপট থেকে মোটামুটিভাবে একটি নির্দিষ্ট অর্থদ্যোতক টার্ম হিসাবে Internal Disturbance শব্দটি ব্যবহার করার চেষ্টা করে এসেছে। ১৯৫৫ সালে Internal Disturbance-এর ক্ষেত্রে হিউম্যানিটারিয়ান মানদণ্ড প্রয়োগ অনুসন্ধানের লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি কমিশন গঠিত হয়েছিল। পরবর্তী বছরগুলোতে বিভিন্ন কমিশন এবং রেডক্রস কনফারেন্সগুলোতে Internal Disturbance-এর সংজ্ঞা, আওতা ও অন্যান্য বিভিন্ন দিক আলোচিত হতে থাকে। ১৯৭১ সালনাগাদ Internal Disturbance শব্দটি মোটামুটি সুনির্দিষ্টভাবেই সশস্ত্র-সংঘাত নয় এমন অভ্যন্তরীণ রায়ট বা বিরোধ বা গোলযোগপূর্ণ বা হিংসাত্মক অবস্থা নির্দেশক টার্ম হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে। পরবর্তীতে Internal Disturbance শব্দটিজেনেভা কনভেনশন, ১২ই আগস্ট ১৯৪৯-এর এডিশনাল প্রোটকলের (প্রোটোকল নং-২, ৮ই জুন ১৯৭৭) ১.২ নং অনুচ্ছেদে অন্তর্ভুক্ত হয়।
উপর্যুক্ত আলোচনা থেকে অন্তত দুটি জিনিস প্রতীয়মান হয় – (১)Internal Disturbance শব্দটির সুনির্দিষ্ট অর্থদ্যোতকতা আছে, এবং (২) অন্তত ব্রিটিশ-উপনিবেশিক শাসনামলে প্রণীত উপমহাদেশের পাবলিক আইনে বা আন্তর্জাতিক হিউম্যানিটারিয়ান আইনে যে অবস্থার নির্দেশক হিসাবে Internal Disturbanceশব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে তা মহামারী সৃষ্ট অবস্থা ইঙ্গিত করে না। এখন প্রশ্ন হলো, আমাদের সংবিধানের প্রেক্ষিতে Internal Disturbance শব্দটিকে কিভাবে ব্যাখ্যা করা উচিত? অর্থাৎ, সংবিধান ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে Internal Disturbance শব্দটি আন্তর্জাতিক হিউম্যানিটারিয়ান আইনে যে অর্থে প্রচলিত ও গৃহীত হয়েছে সেভাবে আমরা ব্যাখ্যা করব, নাকি তাকে সাধারণ কিন্তু ব্যাপকতর অর্থবোধক শব্দ হিসাবে গ্রহণ করব? এক্ষেত্রে বর্তমান লেখকের অভিমত হলো সাধারণভাবে কোন আইনগত শব্দ বা টার্ম, তা আইনের যে শাখারই অধিভুক্ত হোক না কেন, যখন সুনির্দিষ্ট অর্থ পরিগ্রহ করে এবং গ্রহণযোগ্যতা পায়, তখন উক্ত শব্দ বা টার্মটি যদি অন্য যে কোন আইনের টেক্সটে অন্তর্ভুক্ত করা হয় তবে তা আইনসভার ভিন্ন উদ্দেশ্যের সুস্পষ্ট উপস্থিতির অবর্তমানে প্রচলিত অর্থেই গ্রহণ করা হয়েছে বলে ধরে নেয়া উচিত।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, বাংলাদেশের সংবিধানের ১৪৫ক অনুচ্ছেদে ‘আন্তর্জাতিক চুক্তি’ (বাবিদেশের সহিত সম্পাদিত চুক্তি) বা ‘Treaty’ শব্দের উল্লেখ আছে। আন্তর্জাতিক চুক্তি বা Treaty শব্দটি সংবিধান বা জেনারেল ক্লজেস এ্যাক্ট, ১৮৯৭-এ ব্যাখ্যা করা হয় নাই। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক চুক্তি /Treaty শব্দটি আন্তর্জাতিক আইনের আলোকে ব্যাখ্যা করা উচিত হবে, নাকি সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য শব্দটিকে সাধারণ কিন্তু ব্যাপকতর অর্থে ব্যাখ্যা করা যুক্তিসঙ্গত হবে? এমতাবস্থায়, বর্তমান লেখকের অভিমত হলো আন্তর্জাতিক চুক্তি /Treaty শব্দটিকে সাধারণ কিংবা ব্যাপকতর অর্থে গ্রহণ করা হলে সংবিধানের ১৪৫ক অনুচ্ছেদের অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন অসম্ভব হবে। একইভাবে, Internal Disturbance শব্দটি তার বহুল প্রচলিত অর্থ অনুসারেই সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার দাবী রাখে। এর একটি কারণ হলো, আমাদের সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পূর্বেই উপর্যুক্ত শব্দটি একটি সুনির্দিষ্ট অর্থ পরিগ্রহ করেছে এবং তা বহুল গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। আর একটি অন্যতম কারণহলো যেদ্বিতীয় সংশোধনীর মাধ্যমে জরুরী-অবস্থা ঘোষণা সংক্রান্ত বিধানাবলী (অনুচ্ছেদ ১৪১ক-১৪১গ) যখন সংবিধানে সন্নিবেশিত হয়েছিল তখন Internal Disturbance-কে তার প্রচলিত অর্থ থেকে ভিন্নতর বা ব্যাপকতর অর্থে গ্রহণ করাহয়েছিল এমন কোন উদ্দেশ্য বা ইংগিততৎকালীন আইনসভার কার্যবিবরণী থেকে পাওয়া যায়না।
উপরিউক্ত মতামতের সপক্ষে শক্ত টেলিওলজিক্যাল (Teleological) যুক্তি বিদ্যমান আছে। যদি Internal Disturbance শব্দটিকে ব্যাপকতর অর্থে গ্রহণ করা হয় তাহলে তা কার্যতজরুরী-অবস্থা জারীর ক্ষেত্র প্রসারিত করবে। এর ফলে জরুরী-অবস্থা ঘোষণার ক্ষেত্রে নির্বাহী বিভাগের ওপর আরোপযোগ্য আইনগত সীমারেখা শিথিল হয়ে পরবে। অর্থাৎ, এটা একদিকে যেমন নির্বাহী বিভাগের জরুরী-অবস্থা ঘোষণা করার ক্ষমতা বিস্তৃত করবে, আবার অন্যদিকে উক্ত বিভাগের জবাবদিহিতার দায়বদ্ধতা হ্রাস করবে। যেহেতু জরুরী-অবস্থা ঘোষণার অনুষঙ্গ হিসাবে বাংলাদেশে মৌলিক অধিকারসমূহ বলবৎকরণের অধিকার স্থগিত করা হয়ে থাকে তাই তা ঘোষণার ক্ষেত্রে আইনগত সীমারেখা শিথিল হলে সমূহ সম্ভাবনা আছে যে ব্যক্তির মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষার জন্য প্রযোজ্য সাংবিধানিক নিশ্চয়তা অপেক্ষাকৃত কম সুরক্ষা পাবে।
জরুরী-অবস্থা বিষয়ক আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ এ-প্রবন্ধে আলোচনা করতে চাই। তাহলো জরুরী-অবস্থা জারীর ন্যায্যতা আদালতে বিচার্য হতে পারে কিনা? এবং, জরুরী-অবস্থা জারীর ন্যায্যতা নির্ধারণের বিচারিক মানদণ্ড (Standard of Review) কি হবে? প্রথম প্রশ্নটি মূলত আদালতের বিষয়ভিত্তিক (Ratione Materiae) এবং ব্যক্তি-ভিত্তিক (Ratione Personae) এখতিয়ারের সাথে সম্পর্কিত এবং তা নির্ধারিত হবে সংবিধান অনুযায়ী। দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে সংবিধানের ১৪১ক অনুচ্ছেদে। ১৪১ক অনুচ্ছেদের পাঠ লক্ষ্য করলে দেখা যায়, ‘জরুরী-অবস্থা’ এবং ‘জরুরী-অবস্থা ঘোষণা’ দুটো আলাদা বিষয়। ‘জরুরী-অবস্থা’ যে কোন কারণে উদ্ভব হতে পারে; কিন্তু ‘জরুরী-অবস্থা ঘোষণা’ করতে হলে ১৪১ক অনুচ্ছেদে উল্লেখিত দুটো ভিন্ন ধরনের শর্ত একত্রেপূরণ হওয়া আবশ্যক। প্রথমত, যুদ্ধ (War), বহিরাক্রমণ (External Aggression) এবংঅভ্যন্তরীণ গোলযোগ (Internal Disturbance) প্রভৃতির উদ্ভব হওয়া অথবা আসন্ন হওয়া। আইনানুসারে যুদ্ধ প্রভৃতি জরুরী-অবস্থা উদ্ভব হওয়ার সরাসরি কারণ বিধায় এদের কারণ-ভিত্তিক শর্তাবলী বলা যায়। দ্বিতীয়ত, প্রথমোক্ত কারণ বা কারণসমূহ বিদ্যমান থাকা অথবা আসন্ন হওয়ার ফলে বাংলাদেশ বা এর যে কোন অংশের নিরাপত্তা (Security) বা অর্থনীতির (Economic Life) বিপদের সম্মুখীন হওয়া বা হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হওয়া। যেহেতু রাষ্ট্রের নিরাপত্তাবা অর্থনৈতিক বিপন্নতা কারণ-ভিত্তিক শর্তাবলী হতে উদ্ভুত হতে হবে সেহেতু এদের ফলাফল-ভিত্তিক শর্তাবলী বলা যেতে পারে। তবে এখানে উল্লেখ্য যে, আসন্ন যুদ্ধ, বহিরাক্রমণ এবংঅভ্যন্তরীণ গোলযোগের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র নিরাপত্তার বিপন্নতা হেতু জরুরী-অবস্থা ঘোষণা করা যাবে।
বর্তমান লেখকের মতে ১৪১ক অনুচ্ছেদে উল্লেখিত ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণির শর্তাবলীর জন্য আলাদা বিচারিক মানদণ্ড প্রযোজ্য হতে পারে। জরুরী-অবস্থা জারীর ক্ষেত্রে কারণ-ভিত্তিক শর্তগুলো পূরণ হয়েছে কিনা তা আদালত প্রকরণগত (Formal) এবং বস্তুনিষ্ঠ (Substantive)-উভয় প্রকারেই যাচাই করতে পারেন। প্রকরণগত যাচাই বলতে এখানে বুঝিয়েছি যে জরুরী-অবস্থা জারীর ঘোষণার ক্ষেত্রে কারণ-ভিত্তিক শর্ত যথাযথভাবেউল্লেখ বা দাবী করা হয়েছে কিনা তা নিরীক্ষা করা। বস্তুনিষ্ঠ যাচাই বলতে বুঝিয়েছি যে জরুরী-অবস্থা জারীর ক্ষেত্রে উক্ত শর্তগুলোর আইনগত অস্তিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া। এখানে লক্ষণীয় যে, কারণ-ভিত্তিক শর্তসমূহ যথা, যুদ্ধ, বহিরাক্রমণ এবংঅভ্যন্তরীণ গোলযো গপ্রভৃতি হলো লিগ্যাল/জুরিডিক্যাল টার্ম বা কনসেপ্ট। এ টার্মগুলোর সুনির্দিষ্ট আইনগত প্রায়োগিক অর্থবাচকতা আছে। এর ফলে আদালতের পক্ষে সহজে এ সমস্ত শর্ত যথাযথভাবে পূরণ হয়েছে কিনা তা যাচাই করে দেখা সম্ভব। উদাহরণ হিসাবে বলা যায় আইনসভা কর্তৃক সংবিধানের ৬৩অনুচ্ছেদ অনুযায়ী যুদ্ধের ঘোষণা না করা স্বত্বেও যদি যুদ্ধের অজুহাতে জরুরী-অবস্থা জারী করা হয় তাহলে তা আপাতদৃষ্টিতে প্রকরণগতভাবে আইনের অনুবর্তী হলেও বস্তুনিষ্ঠভাবে সঠিক হবে না। ফলে, জরুরী-অবস্থার ঘোষণার বৈধতা নির্ধারণেরক্ষেত্রে কারণ-ভিত্তিকশর্ত মানা হয়েছে কিনা তা আদালত বস্তুনিষ্ঠ যাচাইয়ের মাধ্যমে নির্ণয় করতে পারবে।
অন্যদিকে ফলাফল-ভিত্তিকশর্তগুলো যথা, ‘নিরাপত্তা’এবং‘অর্থনৈতিক বিপন্নতা’ প্রভৃতি শব্দের অর্থ ও তাৎপর্য অতিশয় ব্যাপক। জরুরী-অবস্থার প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক বিপন্নতাইত্যাদি শব্দগুলো তেমন কোন লিগ্যাল/জুরিডিক্যাল গুরুত্ব বহন করে না। বরঞ্চ,এগুলো মূলত দেশের বা এর কোন অংশের সামষ্টিক পরিস্থিতির বাস্তবভিত্তিক মূল্যায়ন নির্দেশ করে। যার ফলে এ-শর্তগুলোকে বস্তুনিষ্ঠভাবে যাচাই করা আদালতের পক্ষে অভিপ্রেত নাও হতে পারে। এমতাবস্থায়,জরুরী-অবস্থা ঘোষণার বৈধতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে ফলাফল-ভিত্তিকশর্ত মানা হয়েছে কিনা তা নির্ণয়ে আদালত প্রকরণগত যাচাই প্রক্রিয়া সমীচীন মনে করতে পারে। উল্লেখ্য যে, জরুরী-অবস্থা ঘোষণার বৈধতার জন্যকারণ-ভিত্তিক এবং ফলাফল-ভিত্তিক শর্তসমূহ সঠিকভাবে পূরণ হওয়া আবশ্যক।
পরিশেষে বলতে চাই যে ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ শাসনামলে মহামারী সামাল দেওয়ার জন্য সাধারণ আইনের বিধানকে যথেষ্ট মনে করা হলে স্বাধীন প্রজাতান্ত্রিক গণতন্ত্রে তা কেন যথেষ্ট বলে পরিগণিত হবে না? মহামারী সামাল দেওয়ার জন্য বিদ্যমান আইনি কাঠামোতে কোন ঘাটতি থাকলে তা সৃজনশীলতার মাধ্যমেই কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব।
(প্রবন্ধটির প্রাথমিক খসড়ার ও পরে মূল্যবান মতামত প্রদানের জন্য লেখক প্রফেসর ড. রিদওয়ানুল হক এবং কাজী ওমর ফয়সলের প্রতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। প্রবন্ধের দোষ-ত্রুটির জন্য কেবলমাত্র লেখক নিজে দায়ী।)
লেখক- কাওসার আহ্মেদ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী। অধিকন্তু, তিনি বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের আন্তর্জাতিক আইন এবং মানবাধিকার বিষয়ক পরামর্শক হিসাবে কাজ করেছেন। তিনি নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি (যুক্তরাষ্ট্র) এবং গ্রাজুয়েট ইন্সটিটিউট (জেনেভা) থেকে আইন বিষয়ে একাধিক মাস্টার্স ডিগ্রী লাভ করেছেন।