আদালতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে বিচারকাজ চালানোর বিষয়ে অধ্যাদেশ জারির পরদিন নিম্ন আদালতের ভার্চুয়াল কোর্টে শুধু জামিন শুনানি করতে নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন।
রোববার (১০ মে) এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো.আলী আকবর। প্রধান বিচারপতির আদেশক্রমে এ নির্দেশনা জারি করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায এবং এর ব্যাপক বিস্তার রোধকল্পে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আগামী ১৬ মে পর্যন্ত সব আদালতে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
‘উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ছুটির সময়ে বাংলাদেশের প্রত্যেক জেলার জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর এলাকার মহানগর দায়রা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, বিশেষ জজ আদালতের বিচারক, সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক, জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারককে এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিজে অথবা তার নিয়ন্ত্রণাধীন এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ ২০২০ এবং উচ্চ আদালতের জারিকৃত বিশেষ প্রাকটিস নির্দেশনা’ অনুসরণ করে শুধু জামিন সংক্রান্ত বিষয়গুলো তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে নিষ্পত্তি করার উদ্দেশ্যে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।
এছাড়া সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সাক্ষরিত পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে ‘বিশেষ প্র্যাকটিস নির্দেশনা’ জারি করা হয়েছে।
এদিকে রোববার ভার্চুয়াল শুনানির মাধ্যমে সুপ্রিমকোর্টে বিচার কার্যক্রম পরিচালনা প্রসঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে ফুল কোর্ট সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান বিচরপতির সভাপতিত্বে উভয় বিভাগের বিচারপতিরা এতে অংশ নেন। ফুলকোর্ট সভায় ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ ২০২০’ এর আওতায় উচ্চ আদালত এবং নিম্ন আদালতের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্র্যাকটিস ডাইরেকশন অনুমোদিত হয়।
উল্লেখ, ৯ মে ভার্চুয়াল কোর্ট সম্পর্কিত অধ্যাদেশ জারি করা হয়। অধাদেশে বলা হয়, সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ বা ক্ষেত্রমত হাইকোর্ট বিভাগ, সময় সময়, প্র্যাকটিস নির্দেশনা (বিশেষ বা সাধারণ) জারি করতে পারবে।