চট্টগ্রামের হালদা নদীতে ডলফিন হত্যা বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশনা চেয়ে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে শুনানির জন্য অনলাইনে রিট আবেদন করা হয়েছে। বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে সোমবার (১১ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের বেঞ্চে ই-মেইলের মাধ্যমে জনস্বার্থে রিট আবেদনটি জমা দেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম লিটন। দেশের ভার্চুয়াল কোর্ট পদ্ধতিতে এটিই প্রথম রিট আবেদন।
রিটে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সচিব, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক ও চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিট আবেদনে হালদা নদীতে ডলফিন হত্যা বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং ডলফিন হত্যা বন্ধে কেন প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। এছাড়াও আশু ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ চাওয়া হয়েছে রিট আবেদনে।
রিট আবেদনকারী আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম লিটন ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডট কমকে জানান, করোনার এই ক্রান্তিকালে আমরা আমাদের সমুদ্র সৈকতে ডলফিনদের প্রাণবন্ত লাফালাফি দেখেছি। কিন্তু অমানবিক আরেক চিত্র দেখছি হালদা নদীর পাড়ে। যেখানে হত্যা করা ডলফিন সম্প্রতি উদ্ধার করা হয়েছে। বিপন্ন প্রজাতির এই ডলফিন হত্যা অবশ্যই অপরাধ। আর প্রাণ-প্রকৃতির অনুষঙ্গ রক্ষার দায়িত্ব আমাদেরই। তাই আমি হালদা নদীর ডলফিন রক্ষায় কর্তৃপক্ষের উপর প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে রিট করেছি।