জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে (আইসিজে) একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছে মিয়ানমার। প্রতিবেদনে ভবিষ্যতে মিয়ানমারে গণহত্যার মতো ঘটনা যাতে না ঘটে এবং অতীতে গণহত্যার মতো ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর আলামত যাতে নষ্ট না হয়, সে জন্য গত চার মাসে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানানো হয়েছে।
গতকাল শনিবার (২৩ মে) প্রতিবেদনটি দাখিল করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এর আগে, যুদ্ধাপরাধ নয় মিয়ানমারে গণহত্যার আলামত পাওয়া গেছে, উল্লেখ করে গত ২৩ জনুয়ারি আইসিজে এক আদেশে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ৪টি অন্তবর্তী আদেশ জারি করেছিল।
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ৪টি অন্তবর্তী আদেশে বলা হয়, রোহিঙ্গা গণহত্যা, নির্যাতন ও নিপীরন বন্ধে মিয়ানমারকে সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীসহ সকল সশস্ত্র বাহিনী ও সংগঠনকে গণহত্যার ষড়যন্ত্র থেকে নিবৃত্ত রাখতে মিয়ানমারকে ব্যবস্থা নিতে হবে। গণহত্যার আলামত যাতে নষ্ট না হয় মিয়ানমারকে সে পদক্ষেপ নিতে হবে।
রোহিঙ্গা গণহত্যা, নির্যাতন এবং নিপিরন বন্ধে আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নের বিষয়ে মিয়ানমারকে আগামী চারমাসের মধ্যে আইসিজে’তে প্রতিবেদন পেশ করতে হবে এবং এই মামলা চলাকালীন প্রতি ৬ মাস পরপর মিয়ানমারকে এই বিষয়ে এই আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম অনালুদু এজেন্সি জানিয়েছে, আদালতের নির্দেশ মেনে গত চারমাসে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সেই প্রতিবেদন ২৩ মে আইসিজে’র কাছে জমা দিয়েছে মিয়ানমার। তবে এই বিষয়ে দেশটির সরকারি পর্যায়ের কেউ মুখ খুলতে রাজি হননি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মিয়ানমার এর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা আইসিজে’র কাছে প্রতিবেদন জমা দেবার বিষয় নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ্য, গণহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলার বিষয়ে আইসিজে’তে গত ১০ ডিসেম্বর থেকে টানা ৩ দিনের শুনানি হয়। শুনানি শেষে আইসিজে’র ১৭ জন বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত বিচারিক দলের পক্ষে আদালতের প্রেসিডেন্ট বিচারক আব্দুলকাওয়ী আহমেদ ইউসুফ গত ২৩ জানুয়ারি মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ৪টি অন্তবর্তী আদেশ ঘোষণা করেন।