রাজধানীর গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে আগুনে পাঁচজন নিহতের ঘটনায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে মামলা করেছেন এক নিহতের স্বজন। বুধবার (৩ মে) রাতে হাসপাতালটির চেয়ারম্যানসহ ছয়জনের পদবী উল্লেখ করে গুলশান থানায় মামলাটি দায়ের করা হয় বলে জানিয়েছেন গুলশান থানার ডিউটি অফিসার তোফাজ্জল হোসেন। গুলশান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত ভেরন অ্যান্থনি পলের মেয়ের স্বামী রোনাল্ড নিকি গোমেজ বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা দায়ের করেন। গুলশান থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা এস আই তোফাজ্জল হোসেন জানান, বুধবার রাত ৯টার দিকে সিইও, এমডি, চিকিৎসক ও নার্সসহ ৬ পদের নাম উল্লেখ করে পুরো কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়।
মামলার বাদী রোনাল্ড রিকি গোমেজ বলেন, দুবার করোনা টেস্ট নেগেটিভ আসার পরও তার স্বজনকে ইচ্ছাকৃতভাবে রাখা হয় আইসোলেশন ইউনিটে। চিকিৎসক ও প্রশাসকদের স্বেচ্ছাচারিতায় আরও কয়েকজন নন-কোভিড রোগীকে সেখানে রাখা হয়েছিল। অথচ তারা করোনা নেগেটিভ ছিলেন। তাই এই ঘটনায় ৫ জন নিহতের পেছনে পুরো দায় ইউনাইটেড হাসপাতালের।
ঘটনার পর কয়েকদিন পরিবারের সবাই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকার কারণে মামলা করতে দেরি হয়েছে বলে জানান রোনাল্ড। রোনাল্ড রিকি গোমেজ জানান, মামলার এজাহারে অ্যান্থনি পলকে হাসপাতালে ভর্তির পর যা যা প্রত্যক্ষ করেছেন সব উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া আইসোলেশন ইউনিটের এসিতে লাগা ছোট্ট আগুন দায়িত্বরতদের অবহেলায় কীভাবে বড় হয়ে ৫ জনের জীবন কেড়ে নিলো তার বর্ণনা করেছেন রোনাল্ড।
গত ২৭ মে ইউনাইটেড হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে লাগা আগুনে নিহতরা হলেন- মোহাম্মদ মাহবুব (৫০), মনির হোসেন (৭৫), ভেরন অ্যান্থনি পল (৭৪), খোদেজা বেগম (৭০) ও রিয়াজ উল আলম (৫০)। ঘটনার দিন রাতের ৫ রোগী নিহতের ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছিল ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।