এখন থেকে স্বাস্থ্যবিধি এবং শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব কঠোরভাবে অনুসরণ করে ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করতে পারবে বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
আজ শনিবার (৪ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মোঃ আলী আকবর স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়।
নির্দশনায় বলা হয়, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট/দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট ম্যজিস্ট্রেটের এজলাস কক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্তরা আত্মসমর্পণ করতে পারবেন।
এক্ষেত্রে আদালতে আত্মসমর্পণ আবেদন দাখিল এবং শুনানির পদ্ধতি ও সময়সূচী এমনভাবে নির্ধারণ ও সমন্বয় করতে হবে যেন আদালত প্রাঙ্গণে এবং আদালত ভবনে কোনরূপ জনসমাগম না ঘটে। আদালত প্রাঙ্গণে ও এজলাস কক্ষে প্রত্যেকে কমপক্ষে ছয় (৬) ফুট শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
সংশ্লিষ্ট আদালত প্রাঙ্গণ এবং আদালত ভবনে জনসমাগম এড়াতে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সংখ্যক আত্মসমর্পণ দরখাস্ত শুনানির জন্য গ্রহণ করতে হবে। চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এ সংক্রান্ত একটি তালিকা সম্বলিত বিজ্ঞপ্তি আদালত এবং আইনজীবী সমিতির নোটিশ বোর্ডে প্রচারের ব্যবস্থা করবেন।
একটি মামলায় অভিযুক্তের পক্ষে সর্বোচ্চ দুইজন আইনজীবী শুনানিতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এজলাস কক্ষে একত্রে ছয়জনের বেশি থাকতে পারবেন না। তবে একই মামলায় একাধিক আত্মসমর্পণকারী থাকলে এজলাস কক্ষের ডকে সর্বোচ্চ ৫ জন অভিযুক্ত একত্রে অবস্থান করতে পারবেন। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিচারক এই ধরণের মামলায় প্রয়োজনে একাধিক ভাবে/সেশনে শুনানি করতে পারবেন এবং সম্পূর্ণ শুনানি নিয়ে আইনানুগ আদেশ প্রদান করবেন। মামলা শুনানির সময় এজলাস কক্ষের বাহিরে আদালতের বারান্দায় বা করিডোরে জনসমাগম সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
আত্মসমর্পণের আবেদন শুনানির সময় অভিযুক্ত ব্যক্তির নিযুক্ত আইনজীবী ছাড়া অন্য কোন আইনজীবী এজলাস কক্ষে থাকতে পারবেন না। একটি আত্মসমর্পণের আবেদন শুনানির শেষে আইনজীবী এজলাস ত্যাগ করার পর বিচারক পরবর্তী আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করবেন।
আদালত কক্ষে উপস্থিত সকলকে অবশ্যই মুখাবরণ (face mask) ব্যবহার করতে হবে। আদালতে প্রবেশের সময় প্রত্যেক ব্যক্তির তাপমাত্রা পরীক্ষা করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক। এজলাসে স্বাস্থ্য বিধি প্রতিপালনসহ শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব কঠোরভাবে বজায় রাখার জন্য তাৎক্ষণিক উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতিতে বিচারক প্রয়োজন মনে করলে শুনানি বন্ধ করে দেওয়াসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।