করোনাকালে দেশের সব জেলা আইনজীবী সমিতির জন্য বার কাউন্সিল প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশিত মনিটরিং কমিটির গৃহীত পদক্ষেপ জানতে চাওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি বার কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে সংস্থার সচিব (জেলা ও দায়রা জজ) রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে, প্রত্যেকটি আইনজীবী সমিতি নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশিত মনিটরিং কমিটির নাম সহ গৃহীত পদক্ষেপ সমূহ বার কাউন্সিলকে জানাতে বলা হয়েছে।
দেশের প্রতিটি আইনজীবী সমিতির সম্পাদক/সাধারণ সম্পাদককে এ প্রতিবেদন দিতে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়।
এর আগে, এক রিট পিটিশন দাখিলের পর বাংলাদেশ বার কাউন্সিল সব জেলা আইনজীবী সমিতিগুলোর জন্য বিশেষ স্বাস্থ্যবিধি প্রণয়ন করে তা প্রতিপালনের জন্য নির্দেশনা দেয়। এ রিট শুনানির পর গত ২৪ জুন বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্টের ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চ দু’টি নির্দেশ দেন।
১. বাংলাদেশ বার কাউন্সিল কর্তৃক গত ১৫ জুন জারিকৃত স্বাস্থ্যবিধি প্রত্যেকটি আইনজীবী সমিতি মেনে চলছে কিনা সেই বিষয়ে মনিটর করার জন্য একটি মনিটরিং কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
২. নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি আইনজীবী সমিতিগুলোর বাস্তবায়ন সংক্রান্ত অগ্রগতি প্রতিবেদন ৫ জুলাইয়ের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে হবে।
উল্লেখ্য, দেশের প্রত্যেক জেলা আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে থার্মাল স্ক্যানার স্থাপন, স্যানিটাইজার, সাবান, এবং হাত ধোয়ার উপকরণ সরবরাহসহ আইনজীবী ভবন পরিচালনায় একটি বিশেষ স্বাস্থ্যবিধি প্রণয়নের জন্য সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. হুমায়ন কবির পল্লব এবং ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাউছার এ রিট পিটিশন দাখিল করেন।
রিট আবেদনে বলা হয়, করোনা ভাইরাস এরই মধ্যে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে করোনা হয়তো কখনোই পৃথিবী থেকে বিদায় নেবে না। নিয়মিত কোর্ট খুলে গেলে লাখ লাখ বিচারপ্রার্থী কোর্ট প্রাঙ্গণে উপস্থিত হবেন। ফলে, দেশের কোর্ট প্রাঙ্গণই হয়ে যেতে পারে করোনার নতুন হটস্পট। এরই মধ্যে অসংখ্য আইনজীবী ও কোর্ট স্টাফ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, অনেকে মারাও গিয়েছেন। বিচারকরাও এর থেকে মুক্ত নন। আদালত প্রাঙ্গণ থেকে তা সারাদেশে প্রবল বেগে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই এখন থেকেই এ বিশেষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা উচিত এবং প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সরঞ্জামাদি প্রস্তুত করে রাখা প্রয়োজন। কোর্ট খোলার আগেই দেশের সব আদালত প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্দেশনা অনুযায়ী শরীরের তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র থার্মাল স্ক্যানার, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা তথা জীবানুনাশক হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করা জরুরি।
রিটে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বার কাউন্সিলের সচিব, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি এবং ঢাকা বার অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারিকে বিবাদী করা হয়।