করোনায় সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ভাই ও তাঁর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল হাই।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) দিবাগত রাত সোয়া একটার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে ও ২ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। আবদুল হাই রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
করোনা উপসর্গ দেখা দিলে গত ২ জুলাই তার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসলে রাতেই তাকে ঢাকা সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ১২ জুলাই থেকে ভেনটিলেশনে রাখা হয়।
আবদুল হাই কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলায় ১৯৫৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মিঠামইন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার, বিআরডিবি’র সভাপতি, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ’প্রবাহ’ এর সভাপতিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক সরকারি কলেজের সাবেক সহকারী অধ্যাপক হিসেবেও কাজ করেছেন। হাজি তায়েব উদ্দিন স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং শিক্ষক ছিলেন তিনি।
এলাকার উন্নয়নে তিনি বিপুল অবদান রাখেন। তাঁর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে । ৯ ভাই বোনের মধ্যে আবদুল হাই ছিলেন অষ্টম।
আগামীকাল শনিবার (১৮ জুলাই) মিঠামইনে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।
প্রধান বিচারপতির শোক
মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আবদুল হাই এর মৃত্যুতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
বিষয়টি ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে নিশ্চিত করে সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার ও মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেন, তিনি (প্রধান বিচারপতি) মরহুম এর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
এছাড়াও অধ্যাপক আবদুল হাই এর মৃত্যুতে সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের বিচারপতি মোঃ নূরুজ্জামান (ননী) গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। বিচারপতি নূরুজ্জামান মরহুম এর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।