মানবতা ও জনকল্যাণমূলক আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘গ্লোবাল ল থিংকার্স সোসাইটি’-এর উদ্যোগে আয়োজিত দুইদিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক অনলাইন যুব সম্মেলন ‘ভার্চ্যুয়াল ইয়ুথ সামিট অ্যান্ড লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড ২০২০: ফাইট করোনা উইন ফিউচার’ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
বিশ্বের তরুণদেরকে নেতৃত্বদানে ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য মাত্রা অর্জনে একত্রিত করা এই আন্তর্জাতিক ভার্চ্যুয়াল ইয়ুথ সামিটে বিশ্বের ১০০টি দেশ থেকে ১০০০ তরুন ও স্বাগতিক বাংলাদেশের ৬৪ জেলার যুব প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ৫৫ জন বিশেষজ্ঞ ও তরুণ চিন্তাবিদ আলোচনায় অংশ নিয়েছে। ২৪ ঘন্টার এই ম্যারাথন সামিট যা এই করোনাকালীন সময়ে শুধু বাংলাদেশে নয় বিশ্বে প্রথম।
গত ১৭ জুলাই সকাল ১১টায় তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান প্রধান অতিথি হিসেবে সামিটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। পরদিন ১৮ জুলাই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন মালয়েশিয়ার যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী ওয়ান আহমাদ ফয়সাল। রাত ৮টায় মালয়েশিয়ার সেলানগর স্টেট অ্যাসেম্বলি রিপ্রেজেন্ট এবং সেলানগর স্টেট এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল মেম্বার গনবতিরাও ভেরামান প্রধান অতিথি হিসেবে আনুষ্ঠানিক সমাপনী ঘোষণা করেন।
‘গ্লোবাল ল থিংকার্স সোসাইটি’-এর স্বপ্নদ্রষ্টা এডভোকেট প্রেসিডেন্ট রাওমান স্মিতা তার বক্তব্যে বলেন, এই করোনাকালীন সময়ে আমাদের এই উদ্যোগ সবাইকে সাহস যোগাবে এবং এই সংগঠন দক্ষ মানব তৈরীতে কাজ করে যাবে। তিনি সম্মানিত প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি সহ সমস্ত স্পীকার, সংগঠনের প্রতিটি সদস্য এবং সকল অনলাইন অতিথিদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সংগঠনের সম্মানিত জেনারেল সেক্রেটারী এডভোকেট খালেদ মাসুদ তার বক্তব্যের মাধ্যমে পৃথিবীর তরুণদের সমস্ত প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে জয়ের জন্য এগিয়ে আসার আহবান জানান এবং তিনি বিশ্বাস করেন যে এই করোনা থেকে জয়ের জন্য একমাত্র তরুনদেরকেই সাহসী ভূমিকা পালন করতে হবে।
জয়েন্ট সেক্রেটারী মোঃ সোলায়মান আহম্মেদ জীসান সামিটের প্রথম ও দ্বিতীয় দিন অনুষ্ঠানের শুরুতে পুরো সামিট সম্পর্কে আলোচনা করে সবাইকে হাতে হাত মিলিয়ে পৃথিবীর সমস্ত সমস্যা দূরীকরণে সামাজিক কাজ চালিয়ে যাওয়ার আহবান জানান।
ভার্চুয়াল ইয়ুথ সামিট অ্যান্ড লিডারশীপ অ্যাওয়ার্ড ২০২০ কর্মসূচিতে বিশ্বের ২২ জন তরুনকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে লিডারশীপ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে।
পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন- মাহিন মেহরাব (ইয়ুথ আইকন), ডক্টর জুনিয়াস সিলভা (লিডারশীপ), হাম্মাদ খান (শান্তি), মোহাম্মদ এমতিয়াজ (শিক্ষা), আরভেনড এপলাসামি (সোশ্যাল ওয়ার্ক), শুভ্রদেব হালদার (স্বাস্থ্য), ডাঃ মহসিন কামাল (শান্তি), তাসমিহা নুহিয়া আহম্মেদ (ডেমোক্রেসি), মোহাম্মদ সায়েদ (শিক্ষা), শেখ ইনজামামুজ্জামান (শিক্ষা), ভিক্টোরিয়া পি সোরিয়ানো (লিডারশীপ), অতুল ধীর (পরিবেশ), থারাকা নন্দসুরিয়া (লিডারশীপ), শোয়েতা মজুমদার (সোশ্যাল ওয়ার্ক), আব্দুলালেম আঞ্জোলাওলুওয়া আডিমোলা ওসিনুগা (এন্টারপ্রিনিউরশিপ), অমিলা রুমেশ জোসেফ (লিডারশীপ), গামিনি মুহান্দিরাম (লিডারশীপ), শ্রেয়ান্থ কুরে (লিডারশীপ), ফারজিন মোহামেদ (লিডারশীপ), মোহাম্মদ আব্বাস (শান্তি), নাজরিন ফায়েজ (লিডারশীপ) এবং রাঙ্গা অরেগোডা (লিডারশীপ)।
ভার্চ্যুয়াল ইয়ুথ সামিটের আলোচ্য বিষয় ছিল সুস্বাস্থ্য ও মানসিক সমৃদ্ধি , টেকসই উন্নয়ন ও মানবাধিকার, শিক্ষা ও ইকোনমি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি। এছাড়া যুব পর্যটন, বিশ্ব সংস্কৃতি আদান-প্রদান, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, জলবায়ু পরিবর্তন, শান্তি ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন সেশনে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সবশেষে বিশ্বের তরুণ নেতাদের গোলটেবিল আলোচনা সভা এবং ভার্চ্যুয়াল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাপনী ঘোষণা করা হয়।