সনদের দাবিতে শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের বিক্ষোভ

শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের দাবি পূরণে ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম

আইনজীবী তালিকাভুক্তির প্রিলিমিনারি (এমসিকিউ) পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের গেজেটের মাধ্যমে সনদ প্রদান করতে ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বার কাউন্সিল যথোপযুক্ত সমাধান দিতে ব্যর্থ হলে আরো কঠোর কর্মসূচীর ঘোষণা দেবেন বলে জানান শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা।

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের অধীনে ২০১৭ এবং ২০২০ সালের প্রিলিমিনারী উত্তীর্ণ শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের “প্রতীকী অনশন মহাসমাবেশ” থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। গতকাল রোববার (১৯ জুলাই) রাজধানীর বার কাউন্সিলের অস্থায়ী কার্য্যালয় বোরাক টাওয়ারের সম্মুখে অনুষ্ঠিত হয়।

মহাসমাবেশ থেকে বক্তারা বাংলাদেশ কাউন্সিল নেতৃবৃন্দদের উদ্দেশ্যে বলেন,আপনারাই আমাদের অভিভাবক, বিগত ১৩দিন যাবত আপনারা শিক্ষানবিশ আইনজীবিদের দাবীর প্রতি কোন সহমর্মিতা কিংবা সহযোগিতা প্রকাশ করেননি, আগামী ৭২ ঘন্টার (বুধবার) এর মধ্যে বিষয়টির আশু সমাধান করতে ব্যর্থ হলে আরো কঠোর কর্মসূচীর ঘোষণা দেবেন বলে দৃপ্ত শপথ ঘোষণা করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন শরীফ থেকে তেলাওয়াত করেন সৈয়দ জিগর আলম, গীতা পাঠ করেন উত্তম তারণ, ত্রিপিটক পাঠ করেন রুপেশ বড়ুয়া। এরপর শিক্ষানবিশ আইনজীবিরা সম্মিলিত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। পরে মহামারী করোনা ভাইরাসে মৃত্যুবরণকারীদের স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালন করেন। এর মো: নুরুল আমীনের পরিচালনায় মহান আল্লাহপাকের দরবারে মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেন।

মহাসমাবেশে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাবেক সদস্য,সুনামগন্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও আন্দোলন কমিটির আহ্বায়ক ফজলে রাব্বি স্মরণের সভাপতিত্বে সিলেট মহানগর তাঁতীলীগের সদস্য সচিব শেখ মো: আবুল হাসনাত বুলবুলের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক একে মাহমুদ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও আন্দোলন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সুমনা আক্তার লিলি এবং যুগ্ম আহ্বায়ক আইনুল ইসলাম বিশাল।

আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের উপ আইন সম্পাদক মো: মুরসালিন তালুকদার, নূপূর আক্তার, রুপেশ বড়ুয়া, শাহ আলম, ওবায়দুল রেজা, মাহবুবুর রহমান, নাসির, সবুজ, নাহিদুর রহমান নাহিদ, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক শাহরিয়ার বখত সাজু, কুমিল্লার উত্তম তারণ, ফেনীর অমিত মজুমদার, গোপালগঞ্জ মো: মিলন শরীফ, খুলনা মো: নজরুল ইসলাম, নীলফামারীর মর্তুজা নান্নু, গাজীপুর রাশেদুল ইসলাম রাসেদ, চট্টগ্রামের খোরশেদ আলম, দিনাজপুরের মইনুল ইসলাম, রাজশাহীর মিরাজ, মানিকগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহিন উদ্ভব, লক্ষীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুর রব সুমন, বরিশালের মো: বাবুল হোসেন, মুনসীগঞ্জের মো: রুবেল, নোয়াখালীর এস.এম. নিজাম, সিরাজগঞ্জের সাইদুর ইসলাম, জামালপুরের সাইদুল ইসলাম, পঞ্চগড়ের আবু সাদাত, কিশোরগঞ্জের আশিকুল ইসলাম রাসেল, সিলেটের মনিরুল হক, মাদারীপুরের আবু সুফিয়ান, কুষ্টিয়ার মেহেদী হাসান পলাশ, নরসিংদীর শামীম হাসান, মৌলভীবাজারের তানিম আফজাল, পাবনার আতাউর রহমান আতা, নারায়নগঞ্জের গাজী মো: শাহপরান জুয়েল, চট্টগ্রামের মীর হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মো: কাউছার মিয়া ও মো: শফিকুল ইসলাম,পটুয়াখালীর শহিদুল ইসলাম, শেরপুরের মো: সোহেল রানা প্রমুখ।