বিধি সংশোধনের গেজেট অনুযায়ী ২০১৮ সালের ১৯ ডিসেম্বরের পূর্বে আইনজীবী অন্তর্ভুক্তির লিখিত পরীক্ষায় একবার অনুত্তীর্ণরা দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দিতে পারবে না বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের এমন সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) সকালে শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের পক্ষে জনস্বার্থে আবেদনটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
বার কাউন্সিলের এমন সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক আখ্যা দিয়ে রিটে ৩৫৯০ জন শিক্ষানবিশ আইনজীবীর লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ চাওয়া হয়েছে। হাইকোর্টের বিচারপতি তারিক-উল-হাকিমের ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চে রিটটি চলতি সপ্তাহে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: লিখিত পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি: বিপাকে সাড়ে তিন হাজার শিক্ষানবিশ আইনজীবী
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, বার কাউন্সিলের গতকাল ২৬ জুলাই দেওয়া নোটিশে ২০১৯ সালের ১৯ ডিসেম্বর সংশোধিত বার কাউন্সিল রুল এর ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। অবশ্যই দ্বিতীয়বার লিখিত পরীক্ষার সুযোগ বর্তমান পরীক্ষার্থীরা পাবেন। অবিলম্বে কার্যকর হওয়ার অর্থই হলো বর্তমান পরীক্ষার্থীরা আগামী ২৬ তারিখের পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন।
দ্বিতীয়ত এই নিয়ম সংশোধন করা হয়েছে বর্তমান পরীক্ষার্থীদের সুবিধা দেয়ার জন্য। এছাড়া এই সংশোধনের আর কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে না। বার কাউন্সিল সংশোধিত এই রুলসের উদ্দেশ্য ব্যাহত করেছে। ফলে এই নোটিশ কার্যকর হতে পারে না।
আবেদনে আরও বলা হয়েছে, বার কাউন্সিল ২০১৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর এক নোটিশ দিয়ে জানায় যে, পূর্বে যারা এমসিকিউ পাস করেছে তাদের নতুন করে এমসিকিউ পরীক্ষা দিতে হবে না। হঠাৎ করে গতকাল ২৬ জুলাই এসে বলছে যে, তারা লিখিত পরীক্ষার সুযোগ পাবে না। এক মুখে দুই কথা আইনের দৃষ্টিতে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে আবেদনে বার কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত বাতিল চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: লিখিত পরীক্ষা নিয়ে বার কাউন্সিলের নোটিশ গোলমেলে
রিটে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল, বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ও (এনরোলমেন্ট) পরীক্ষা বিষয়ক কমিটির প্রধানকে বিবাদী করা হয়েছে।