সকল ক্ষেত্রে শিশুদের প্রতি শারীরিক ও মানসিক শাস্তি নিরসনের বিষয়টি অর্ন্তভুক্ত করে শিশু আইন সংশোধন করার সুপারিশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) আয়োজিত শিশুর প্রতি শারীরিক ও মানসিক শাস্তি নিরসনে আইনগত সংশোধনী প্রস্তাবনা বিষয়ে সোমবার (২৭ জুলাই) এক ভার্চ্যুয়াল মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ সুপারিশ করেন।
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট ও বিভিন্ন জেলার জেলা জজ আদালতের আইনজীবী, আইন বিশেষজ্ঞ, আইন গবেষক, শিশুর প্রতি শারীরিক ও মানসিক শাস্তি নিরসনে কোয়ালিশনের সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন মানবাধিকারকর্মীসহ প্রায় ৫১ জন এই সভায় অংশগ্রহণ করে তাদের মূল্যবান বক্তব্য প্রদান করেন।
অনলাইন সভায় বক্তারা, সকল ক্ষেত্রে শিশুদের প্রতি শারীরিক ও মানসিক শাস্তি নিরসনের বিষয়টি অর্ন্তভুক্ত করে শিশু আইন সংশোধন করার সুপারিশ প্রদান করেন।
এছাড়া শাসনের নামে শারীরিক ও মানসিক শাস্তি না দিয়ে শিশুদের ইতিবাচক শৃংখলা আনয়ন করা, শিশু লালন-পালনে ইতিবাচক মনোভাবের উপর একটি নীতিমালা প্রণয়ন, খসড়া সংশোধনী প্রস্তাবনাকে বিদ্যমান শিশু আইনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে পরিবর্তন করা, শিশু আইনের নবম অধ্যায় সংশোধন করে শিশুর প্রতি সব ধরনের নির্যাতনের বিষয়গুলো অর্ন্তভুক্ত করে প্রতিকারের বিধান সংযুক্ত করার সুপারিশ প্রদান করা হয়।
ব্লাস্টের এডভোকেসী উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইন কমিশনের মুখ্য গবেষণা কর্মকর্তা জেলা ও দায়রা জজ ফওজুল আজিম।
সভায় শিশুর প্রতি শারীরিক ও মানসিক শাস্তি বন্ধে খসড়া আইনগত সংশোধনী প্রস্তাবনা উপস্থাপনা করেন সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আমিরুল হক এবং ওই প্রস্তাবনার উপর আলোচনা করেন ব্যারিস্টার আবদুল হালিম এবং অ্যাডভোকেট আইনুন্নাহার সিদ্দিকা।
এছাড়াও সভায় বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উপ পরিচালক এম রবিউল ইসলাম, ইনশিয়িটেভি ফর হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট এর সভাপতি অধ্যাপক কাজী ফারুক আহমদে এবং সেভ দ্য চিলড্রেন এর ম্যানেজার মোঃ একরামুল কবির।