দেশে চলতি বছরের জুলাই মাসে ১০৭ জন নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। আর সবমিলে এই এক মাসে ২৩৫ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। দেশের ১৩টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত ঘটনার তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে ২০২০ সালের জুলাই মাসে মোট ২৩৫ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এরমধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১০৭ জন। এরমধ্যে আবার গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১৪ জন।
সংস্থাটি বলছে, এই এক মাসে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে তিনজনকে। এছাড়া ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে নয়জনকে। এছাড়া ১০৭টি ধর্ষণের ঘটনার মধ্যে শিশু ছিল ৭২ জন।
জুলাই মাসে শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন তিনজন নারী। নারী অপহরণের ঘটনা ঘটেছে মোট পাঁচটি। বিভিন্ন কারণে হত্যা করা হয়েছে ৪৬ জন নারী ও কন্যাশিশুকে।
যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১৫ জন। এরমধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে সাতজনকে। গৃহপরিচারিকা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ছয়জন। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন চারজন।
এছাড়া বিভিন্ন নির্যাতনের কারণে ১০ জন আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন এবং আত্মহত্যার প্ররোচণার শিকার হয়েছেন আরও দুইজন। ১৮ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে এবং বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছেন পাঁচজন। আর পাঁচ কন্যাশিশু সাইবার ক্রাইমের শিকার হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে।