স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে গণপরিবহনে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করায় লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।
অ্যাডভোকেট মো. আতিকুর রহমানের পক্ষে বুধবার (১২ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হাসিম উদ্দিন স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট আটজনকে এই নোটিশ পাঠান।
নোটিশে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে গণপরিবহনে অতিরিক্ত যাত্রী বহন বন্ধে আগামী সাতদিনের মধ্যে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় আইনি প্রতিকারের জন্য রিট করা হবে।
নোটিশে এই তিন মন্ত্রণালয় ছাড়াও পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি), বিআরটিএ চেয়ারম্যান, সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, অনন্যা ক্লাসিক পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, করোনা সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে গত ৩১ মে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ (বিআরটিএ সংস্থাপন শাখা) থেকে বাসের ভাড়া শতকরা ৬০ ভাগ বাড়িয়ে এবং প্রতি দুইজনের সিটে একজন যাত্রী বসার বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। কিন্তু সরকারি প্রজ্ঞাপন লঙ্ঘন করে কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী অনন্যা ক্লাসিক পরিবহন প্রাইভেট লিমিটেডের একটি বাসে প্রতি দুইজনের সিটে একজন যাত্রী না বসে দুজন যাত্রী বসানো হয়। অর্থাৎ ৪১ সিটের বাসে সর্বমোট ৪১ জন যাত্রী নিয়ে কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকায় আসে। এমনকি অতিরিক্ত তিনজন যাত্রী বহন করা হয়।
নোটিশে আরও বলা হয়, সামাজিক দূরত্ব ও সরকারি নির্দেশ অমান্য করে গাদাগাদি করে যাত্রী বহন করার ফলে করোনার ব্যাপক বিস্তার ঘটলে তার দায়-দায়িত্ব নোটিশ গ্রহীতাদের বহন করতে হবে।
নোটিশে বলা হয়েছে, গত ৮ আগস্ট অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান তার স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে অনন্যা ক্লাসিক পরিবহনের একটি বাসে কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকায় আসেন। পরিবহন কর্তৃপক্ষ এ জন্য একটি সিটের স্বাভাবিক ভাড়া ২২০ টাকার পরিবর্তে শতকরা ৬০ ভাগ বাড়িয়ে ৩৫০ টাকা করে মোট তিনটি টিকিটের বাবদ এক হাজার ৫০ টাকা নেয়। ৪১ সিটের ওই বাসটিতে ৪৪ জন যাত্রী বহন করা হয়।