রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিচারে অভিগম্যতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ করে সহিংসতার শিকার নারী ও শিশুকে অনলাইনে আইনী সহায়তা প্রদানের জন্য সরকারী আইনগত সহায়তা ও হটলাইন চালু করার দাবী জানিয়েছে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)।
আজ বুধবার (২৬ আগস্ট) সংস্থার অ্যাডভোকেসি এন্ড কমিউনিকেশন বিষয়ক উপ-পরিচালক মাহবুবা আক্তার প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বকবাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বাংলাদেশে প্রবেশের তিন বছর পূর্ণ হল ২৫ শে আগস্ট ২০২০। কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে প্রায় ৮লক্ষ ৫৫ হাজার নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ব্যক্তি বসবাস করছেন। তাদের জন্ম, মৃত্যু, বিবাহ ও বিবাহ বিচ্ছেদের নিবন্ধন অতীব জরুরী হলেও বর্তমানে এই সকল নাগরিক সুবিধা অত্যন্ত সীমিত। ফলে রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে পারিবারিক বিরোধ ও সহিংসতার মাত্রা বেড়েই চলেছে এবং যার শিকার হচ্ছেন নারী ও শিশু। তাছাড়া করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সময়ে পারিবারিক বিরোধ ও সহিংসতার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমসহ অন্যান্য সূত্রে জানা গেছে।
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির এলাকায় মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা সক্রিয় করার মাধ্যমে আইনী ও স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) সহ বিভিন্ন সংগঠন ও প্ল্যাটফর্ম থেকে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট স্মারকলিপি প্রদানসহ বিভিন্ন দাবী জানিয়ে আসছে। ইতিমধ্যেই সরকার রোহিঙ্গা শিবির এলাকায় ইন্টারনেট সেবা চালু করবেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে সেজন্য সরকারকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনটি।
কিন্তু করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা শিবিরে নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুদেরকে অনলাইনের মাধ্যমে আইনগত সহায়তা প্রদান করা অতীব জরুরী। এজন্য রোহিঙ্গা শিবির এলাকায় অনলাইনে সরকারী আইনগত সহায়তা সেবার পরিধি বিস্তৃত করে নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুর সুরক্ষা নিশ্চিত করাসহ বিশেষ হটলাইন চালু করার দাবী জানিয়েছে ব্লাস্ট।
পাশাপাশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী যেন আইনের আশ্রয় লাভ করতে পারেন এবং তারা যেন বিচারে অভিগম্যতা নিশ্চিত করতে পারেন সে ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ জানানো হয়েছে।