নারায়ণগঞ্জে শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণে এক শিশুসহ ২৩ জনের মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)। একইসঙ্গে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এই মর্মান্তিক ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত বিচার ও শাস্তি এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।
আজ রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে ব্লাস্টের পক্ষ থেকে সংস্থার কমিউনিকেশন স্পেশালিস্ট আসমাউল হোসনা প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায় যে, গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিকট শব্দে বিষ্ফোরন ঘটে। এতে অর্ধশতাধিক মুসল্লি দগ্ধ হন। দগ্ধ ব্যক্তিদের গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ পর্যন্ত ২৩ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া আরো ১৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত আরো তথ্য অনুযায়ী, মসজিদ কমিটি, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ সরবরাহ ও ভবন নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর অবহেলার কারণে এই আগুনের সূত্রপাত এবং হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ অভিযোগ জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রের দায়িত্ব সকল নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। বাংলাদেশ সংবিধানের ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদ অনুসারে, প্রত্যেক নাগরিকের আইনের আশ্রয় লাভের এবং আইনানুযায়ী ব্যতীত ব্যক্তি-জীবন ও ব্যক্তি-স্বাধীনতার অধিকার রয়েছে।
গত বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি চুরিহাট্টা এবং ২০১০ সালের ৩ জুন নিমতলীর ভয়াবহ ট্র্যাজেডির পর এ ধরণের ঘটনা অপ্রত্যাশিত এবং অনাকাঙ্খিত। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষাগ্রহণ করে সকল নাগরিকের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এ ধরনের ঘটনায় নিহত ও আহত ব্যক্তির এবং পরিবারের যথার্থ ক্ষতিপূরণ এবং যাদের অবহেলার জন্য এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে তাদের জবাবদিহিতার পাশাপাশি আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবী জানিয়েছে ব্লাস্ট।