মিরপুরে নির্যাতিত শিশু গৃহকর্মী খাদিজাকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়াসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষে জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে তিনটি সুপারিশ জানিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। একইসঙ্গে এসব সুপারিশের বিষয়ে গৃহীত ব্যবস্থা আগামী তিন মাসের মধ্যে কমিশনকে অবহিত করতে বলা হয়েছে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ফুলবেঞ্চে সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এ সুপারিশসহ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ের সুপারিশগুলো হলো
- জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন অনুসারে-যে বা যারা গৃহকর্মী খাদিজা নির্যাতনের ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করে বিচার পাওয়ার অধিকার ক্ষুণ্ন করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন সেসব দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব বরাবরে সুপারিশ করা হলো।
- কমিশনের কাছে ভিকটিম খাদিজা বক্তব্য দেওয়ার সময় ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বিচার চেয়েছে। ঘটনার সময় ভিকটিম খাদিজা মা হারা একজন অনাথ শিশু হিসেবে যে নির্যাতনের শিকার হয়েছে বর্তমানেও নির্যাতনের সেই ক্ষত তার মনে দাগ কেটে আছে। এ অবস্থায় মানবাধিকার কমিশন আইন অনুসারে ভিকটিম খাদিজার বরাবরে পঞ্চাশ হাজার টাকা পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাধ্যমে সাময়িক সাহায্য মঞ্জুর করার ব্যবস্থা নেবেন মর্মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষে জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে সুপারিশ করা হলো।
- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এসব সুপারিশের বিষয়ে গৃহীত ব্যবস্থা আগামী তিন মাসের মধ্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে অবহিত করবেন।
এক বিজ্ঞপ্তিতে মানবাধিকার কমিশন জানায়, গত ২৪ জুন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে গৃহকর্মী খাদিজা নির্যাতন ঘটনায় হাইকোর্ট বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের বিষয়টি জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অবহিত হয়।
উল্লেখ্য, ঘটনাটি গত ২০১৩ সালের ৮ ডিসেম্বরের। কমিশন পূর্ণাঙ্গ রায়ের সার্টিফাইড কপির জন্য অপেক্ষা করে গত ১৭ জুলাই হাইকোর্ট বিভাগের রায়ের সার্টিফাইড কপি পায়। হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুসরণে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ফুলবেঞ্চে দুই দফা শুনানি শেষে সোমবার সুপারিশসহ রায় ঘোষণা করেন।