যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগে স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শিক্ষক ফারজানা নাসরিন। অভিযুক্ত মাসুদ রানা নীলফামারীর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত।
মামলাটি আমলে নিয়ে সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সমন জারির আদেশ দিয়েছেন যশোরের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাইফুদ্দিন হোসাইন।
বাদী ফারজানা ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার আড়পাড়ার ইকরামুল হকের মেয়ে। তার স্বামী বিবাদী মাসুদ রানা পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার আফতাবনগরের আব্দুল আলিমের ছেলে।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, আসামি মাসুদ রানা পরসম্পদ ও যৌতুকলোভী। ২০১৯ সালের ২১ জুন তিনি শামসি নাহিদ অঞ্চা নামের এ নারীকে বিয়ে করেন। পরে যৌতুদের দাবিতে নির্যাতন করে ওই বছরের ৪ নভেম্বর তাকে তালাক দেন। সে সময়ই মাসুদ রানার সঙ্গে ফারজানা নাসরিনের মোবাইল ফোনে পরিচয়। আগের বিয়ে গোপন করে পারিবারিকভাবে চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় মাসুদ রানাকে পাঁচ লাখ টাকার মালপত্র ও দুই লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার দেওয়া হয়। কিছুদিন যেতে না যেতে মাসুদ রানা ঢাকার পূর্বাচলে প্লট কেনার জন্য স্ত্রী ফারজানার কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। যৌতুকের পাঁচ লাখ টাকা মাসুদ রানাকে দেওয়া হয়। বাকি পাঁচ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য মাসুদ রানা তার স্ত্রীর ওপর নির্যাতন শুরু করেন। এক মাস আগে মাসুদ রানা শ্বশুরবাড়ি এসে যৌতুকের টাকা না পেয়ে তার স্ত্রীকে মারধর করে চলে যান। এর পর বেশ কয়েকবার মীমাংসায় চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ায় তিনি আদালতে এ মামলা করেন।